মলয় দে নদিয়া :-বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক এবং লক্ষাধিক টাকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর দক্ষিণ পাড়ার। সেখানে জমাত আলী মন্ডল এর পুত্র সবিরাজ মন্ডলের বাড়িতে অর্চনা মন্ডল নামে শ্যামনগর থেকে এক মহিলা সাত সকালে এসে পৌঁছান । তিনি দাবি করেন সবেরাজ মন্ডলের সাথে তার প্রথম পরিচয় রংয়ের কাজ করতে গিয়ে এরপর ভালোবাসার সম্পর্ক চলে দীর্ঘদিনের। বিধবা হওয়ার কারণে তিনি আশ্রয় পেতে তাকে বিয়ে করার কথা বলেন এবং সে ক্ষেত্রে রাজীও হয় সবেরাজ । এরপর সংসার করার জন্য বাড়িঘর করার প্রয়োজনে ওই মহিলার কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা নিতেন যার পরিমাণ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। সম্প্রতি এক সপ্তাহ ধরে তাকে ফোনে না পেয়ে তার বাড়িতে চলে এসেছেন তিনি। এরপর হতবাক হয়ে দেখেন
স্ত্রী এবং ১৫ বছরের এক মেয়ে এবং বিবাহযোগ্য একটি পুত্র সন্তান রয়েছে অথচ এই কথা সম্পূর্ণ আত্মগোপন করেছিল সবেরাজ। তবে এখন তিনি স্ত্রীর মর্যাদা অথবা তার কাছ থেকে নেওয়া দেড় লক্ষ টাকা ফেরত চান। আর এই দাবিতেই ধরনায় বসেন তিনি। বাড়ি থেকে মেরে ধরে তাড়িয়ে দিতে চাইলে প্রতিবাদ করে প্রতিবেশীরা তাদের মতে একজন মহিলা সমস্যায় করলে পাশে দাঁড়ানোর দরকার। বিষয়টি জানিয়ে প্রতিবেশীরাই শান্তিপুর থানায় খবর দেয় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। দুজনকেই শান্তিপুর থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
তবে সবেরাজ অবশ্য, শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে।
তার পরিবারের মা এবং স্ত্রী জানান পাড়ার কিছু ছেলেরা তাদের মারধর করেছে এমন কি ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ করে প্রথমে টাকার চাপ দিয়েছিল টাকা না পেয়ে এই বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তারাই। তাদের দাবি সবেরাজ সত্যি কোন অপরাধ করে থাকে তাকে পুলিশ সাজা দেবে! কিন্তু স্থানীয় বেশকিছু লোকেরা মিলে তাদের মারধর করেছে তারও বিচার চেয়েছেন।
যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে ওই যুবক এবং তার পরিবার। পাড়া-প্রতিবেশী কেউ তাদের গায়ে হাত তোলেনি বরং অভিযোগকারী ওই মহিলা তাদের বাড়িতে আসার পরে তার গায়ে হাত তোলেন যুবকসহ তার পরিবারেরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপক উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। এবং পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামাল দেয়। তবে ওই যুবক এর আগেও একাধিকবার মহিলা গঠিত সম্পর্কের সাথে যুক্ত। এতে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই সকলে মিলে লিখিত অভিযোগ করে জানানো হয়েছে শান্তিপুর থানায়।
তবে বর্তমানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রেম আলাপ হোক কিংবা বাকবিতণ্ডা সবটাই হচ্ছে শান্তিপুর থানা শ্রী ঘরে। পরকীয়া বিষয়ে কোনো কড়া আইন না থাকলেও টাকার দাবিতে হয়তো অভিযুক্ত ওই যুবককে আগামীকাল আদালতে তোলা হতে পারে বলেই জানা গেছে ।তবে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়।