মলয় দে নদীয়া:- ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন গৃহবধূ। ঋণের কিস্তি আদায় করতে আসা ‘স্যারে’র প্রেমে পড়ে যান যুবতী। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে। যুবতী জানান বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহ বিচ্ছিন্ন গৃহবধুর সঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গহনা হাতিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করার পর, বিয়ে করতে অস্বীকার করছে যুবক। অবিলম্বে বিয়ের দাবিতে সেই যুবকের বাড়িতে ধর্না দেন তিনি । সেই সময় তাঁকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের পরিবারের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার ফাজিল নগর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার ফাজিল নগর গ্রামের বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক এক পড়শি যুবতীর। দুই পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় যুবতীর বিয়ে হয় অন্যত্র। কর্মসূত্রে ওই গ্রামেই ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার কিস্তি আদায়ের কাজ পায় ওই যুবক। পুরনো প্রেমের সম্পর্ক ফের নতুন করে তৈরি হয়। প্রেমিকের সাথে নতুন করে তৈরি হওয়া ঘনিষ্ঠতার জেরে স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে যুবতী। যুবতীর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা ও আড়াই লক্ষ টাকা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক হাতিয়ে নেই বলে অভিযোগ। ওই যুবতী কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করা হয়েছে বলে ও যুবতী অভিযোগ করেছেন। রবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথা বলতে গেলে যুবকের পরিবার অস্বীকার করে। তারপরেই বিয়ের দাবিতে ওই যুবকের বাড়িতে ধর্নায় বসে যুবতী।
অভিযোগ, যুবতী বাড়ির সামনে ধর্নায় বসতেই আচমকা যুবতীর পরিবারের লোকেরা তাঁকে মারধর করা শুরু করেন। খবর পেয়ে যুবতীর পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে ।
যুবতীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন দিনের পর দিন। বিয়ে কখন করবে বলতে গেলেই বেশ কয়েক দিন ধরেই ধমক দিচ্ছিলেন তিনি। এর পরেই তাঁর বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত।