ভারতের জয়ের আবেগ সাদা কাগজে রং তুলি দিয়ে লেখা হলো শিল্পীর পেট দিয়ে

Social

মলয় দে নদীয়া- গোটা দুনিয়া কাঁপছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জ্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আজ ভারতের খেলা নিয়ে সকাল থেকেই উত্তেজনা হার মানিয়েছে রাজনীতিকেও। আর তাইতো বৃষ্টির মধ্যেও সকলে একসাথে খেলা উপভোগ করার জন্য কোথাও টিভির দোকানে কোথাও বা জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে ভিড় জমিয়েছেন তারা। মাঝেমধ্যে এক হাত পষলা বৃষ্টি ও এসেছে কোথাও কোথাও কিন্তু ছাতা মাথায় দিয়েই ভারতের জয় দেখার অপেক্ষায় সারা দেশবাসী।

এ বিষয়ে শিল্পীর আবেগও কম নয়! ভারতের জয়ের আশায় উল্লাসিত হয়ে দেখিয়ে দিলেন পেটের খেল। শুধু তাই নয় ছিনিয়ে নিয়ে আসলেন জয়। শিল্পী মানেই রং তুলি আর অবশ্যই হাত। কিন্তু এই শিল্পীর হাতের থেকে কোন অংশে কম নয় পেট। তাই জয়ের পরে পেট দিয়েই টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ লিখে ফেললেন খেলা দেখতে দেখতেই।

নদীয়া জেলার চাপড়া বড় অন্দুলিয়ার বাসিন্দা তুহিন মণ্ডল কে এখন নেট দুনিয়ায় সকলেই চেনে পেট দিয়ে ছবি আঁকার বিখ্যাত শিল্পী হিসেবে। এভাবে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য বিস্মিত গোটা দুনিয়া। বিভিন্ন রেকর্ড সংরক্ষণের সংস্থা তাকে সংবর্ধিত করেছেন।
তবে যার পেট রং তুলির বশমানে সেখানে হাত যে আরও ভালো কিছু করবে এ আর আশ্চর্যের কি। তবে তুহিন বাবু সহজ কিছু পছন্দ করেন না যা সকলেই করতে পারে, তিনি মনে করেন কঠিনের মধ্যেই একাগ্রতা এবং আন্তরিকতা থাকে।
তাইতো কখনো তিনি একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশির মধ্যে দেশের সর্বময় কর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি এঁকে তাক লাগিয়ে দেন সকলকে।

তুহিন বাবু বলেন বেশ কয়েকবার প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও নষ্ট হয়েছে ছবি, ক্ষণিকের জন্য মন ভেঙে গেলেও অদৃশ্যভাবে কেউ একজন পেছন থেকে তাকে শক্তি জুগিয়েছেন। হার না মানা কর্ম প্রচেষ্টাই আজ তাকে ব্যতিক্রমী শিল্পী হিসেবে পরিচিত লাভ করিয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মা , স্ত্রী সব সময় তার প্রতিভা প্রকাশে সহযোগিতা করে থাকেন তারা জানাচ্ছেন, এ ধরনের কিছু করার সময় রাতের পর রাত জেগে কাটায় তুহিন। আর্থিক পরিস্থিতিও খুব বেশি ভালো নয় তাই আমাদের মতন ঘরে এ ধরনের শিল্পকর্ম বেমানান। তবে তারা আশাবাদী তুহিনের শিল্পকর্ম আগামী দিন নিশ্চয়ই কদর পাবে।
ছোট থেকে বাবার কাছে তার আঁকা শেখা। তবে সেভাবে কোন শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আঁকা শেখেনি , সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় আজ তুহিনের এই জায়গা।

Leave a Reply