সোশ্যাল বার্তা: গ্রীষ্মের প্রবল তাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। অপরদিকে চলছে সাধারণ নির্বাচন। রাজ্যের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংকে রক্তের যোগানো খুব কম। নদীয়ার মহেশগঞ্জে সদিচ্ছা সংগঠনের উদ্যোগে লেনিন কলোনীতে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। এই রক্তদান শিবিরে ৫০ জনের বেশি রক্ত দাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করবেন বলে সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয় । গ্রীষ্মের দাবদাহে জলস্তর নামার সাথে সাথে পুকুর জলাশয় ডোবা জলশূণ্য, মৎস্যজীবিরা মাছ পাচ্ছেন না, কৃষিজীবীরা চাষের জন্য জল পাচ্ছেন না তাদের জীবন জীবিকা প্রশ্নচিহ্নর সামনে।
ঠিক একই ভাবে প্রায় সমস্ত ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অভাবে চিকিৎসা শাস্ত্রেও এক অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিকে কিছুটা সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে সদিচ্ছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের মানবিক ডাকে লেনিন কলোনি মহেশগঞ্জের মানুষ স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির থেকে পরিত্রাণের জন্য।
এই দাবদাহে রক্তদান কর্মসূচি বহু সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন জলঙ্গী নদী সমাজ, কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সদস্যবৃন্দ।
সদিচ্ছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার শ্রী জগবন্ধু দাস বলেন, কঠিন সময়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে সদিচ্ছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরী হয়েছে এবং এই কাজ করতে নেমে সব থেকে যেটা জরুরী সেটাই হোলো সদিচ্ছা যা থাকলে সব সম্ভব।
সংগঠনের আরো এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্রী তুহীন গুপ্ত জানান, বিভিন্ন সংগঠনের মানুষকে পাশে পেয়ে সদিচ্ছা আত্মবিশ্বাস আরো আনেকটাই বেড়ে গেলো।
জলঙ্গী নদী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শ্রী অরূপ দাস, তিনি বলেন সদিচ্ছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাধুবাদ জানিয়ে তাদের কাছে আবেদন স্থানীয় স্তর থেকে পরিধি বাড়িয়ে নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি সংগঠিত করার সাথে সাথেই নদী ও পরিবেশের কাজেও আরো বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষ্ণনগর ঐকতান এর পক্ষ থেকে শ্রী অরিন্দম দেব তাদের এই মহতী উদ্যোগ কে অভিনন্দন জানান এবং প্রশংসা করে আরো সদিচ্ছা বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দেন।
শ্রী সুজয় ঘোষ রক্ত দানের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেন উপস্থিত মানুষের কাছে।