মলয় দে :-কী কাণ্ড! বিয়ের দিন নিখোঁজ কনে, ফোন বন্ধ কনে পক্ষের, বর বেশে থানায় হাজির যুবক!
দু’জনের সম্মতিতেই ঠিক হয়েছিল বিয়ে। আইনি মতে বিয়ের দিন উধাও কনে। মাথায় টোপর, গায়ে পাঞ্জাবি, পরনে ধুতি বিয়ের বেশে থানায় হাজির হলেন বর। কনের খবর পাচ্ছে না বলে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন হবু বর। বিয়ের সাজে বরকে দেখে হকচকিয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুলিস কর্মীরা। অবশেষে বিয়ে না করে নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরতে হল বরকে।
জানা গিয়েছে, নদীয়ার মাটিয়ারির বাসিন্দা নয়ন ঘোষ-এর সঙ্গে ছয় মাস আগে বন্ধুর বিয়েতে পরিচয় হয় বর্ধমানের দত্তপাড়ার বাসিন্দা বিউটির। অনলাইনে মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের। এরপর ছয় মাস ধরে অনলাইনেই কথাবার্তা হত তাঁদের। তারপর তাঁরা দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর নয়নের বাড়ির লোক বিয়ের কথাবার্তা বলাতে বিউটি তাঁর মাসির বাড়ির ঠিকানা দেন কাটোয়া গোয়ালপাড়া ঘাটের কাছে। দুই পক্ষের সামনাসামনি কারোর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ফোনেই বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। যদিও ১৭ তারিখ বিয়ের কোন দিন না থাকায় বিউটি বলে, আমার দাদুর মৃত্যু বার্ষিকী শেষ হবে ১৬ তারিখে। তাই ১৭ তারিখে বিয়েটা হোক। সেই কথা মতো নয়ন রবিবার সন্ধ্যায় বরের বেশে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী নিয়ে বাড়ি থেকে বিয়ের আচার অনুষ্ঠান মেনে বের হয়। বরের জন্য নৌকা পাঠানোর কথা ছিল কনেপক্ষের। এরপর গঙ্গার ঘাট পেরোলে ফোন করলে আর যোগাযোগ করা যায় না কনেপক্ষের সঙ্গে। ফোন সুইচ অফ থাকায় কোনো খবর পায় না তারা।বেশ কিছুক্ষণ গঙ্গাঘাটের কাছে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী নিয়ে বর অপেক্ষা করলে কোনো খবর পাওয়া যায়নি কনেপক্ষের। এরপর নয়ন (বর) প্রতারণার শিকার হয়েছে তিনি সেটা বুঝতে পারেন। অগত্যা বর বেশে হাজির কাটোয়া থানায়।
নয়ন ঘোষের অভিযোগ, বিয়ে করবে না সেটা বললেই হত। এইরকম করার দরকার কী ছিল? সিনেমায় দেখা গিয়েছে জানলা দিয়ে বউ পালায়, এবার দেখা গেল অনলাইনে গায়েব বউ।