মলয় দে,নদীয়া:ধর্মীয় ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যে ঘেরা নবদ্বীপ শহর। প্রতিটি উৎসব অনুষ্ঠানে অগুনিত মানুষের ভীড় হয় এই শহরের। ব্যতিক্রমি নয় দশহরা গঙ্গা পুজো।
গঙ্গাপুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই নবদ্বীপ শহর ও ব্লকের সব কটি গঙ্গার ঘাটে ছিল ভক্ত তথা সাধারণ মানুষের ভীড়।
আর কোনরকম অপ্রিতিকর ঘটনা এরাতে প্রশাসনের তরফেও ছিল যথেষ্ট নজরদারি।
মূলত নবদ্বীপ শহরের রানীর ঘট, শ্রীবাসঙ্গন ঘাট, পোড়া ঘাট, মনিপুর ঘাট,সহ নবদ্বীপ ব্লকের বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটেই পুজো হয়।
এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য নবদ্বীপ শহরের রানীরঘাট, শ্রীাবাসঙ্গন ঘাট, মণিপুর ঘাট, ফাঁসিতলা ঘাট, ও নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা ঘাটে জনসমাগম হয় যথেষ্ট বেশি।
এই পুজো উপলক্ষে যেমন স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে পুজো করে আসছেন, তেমনি নবদ্বীপ শহরের পার্শ্ববর্তী শহরের থেকও বিভিন্ন ব্যাবসায়ী সমিতি, ও বনেদি বাড়ি থেকেও নবদ্বীপের গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা মাতার পুজো করতে আসেন।
তেমনি এবছর পোড়াঘাটে দেখাগেল নবদ্বীপের পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণ নগরের ঘুর্ণি পুতুল পট্টি থেকে আসা দাস বাড়ির সদস্যদের, তারা একটি বড় ট্রলার ভারা করে নবদ্বীপ পোড়া ঘাটে এসেছে,
পরিবারের সদস্যরা জানায় বংশ পরম্পরায় তারা এই পুজো করে আসছে, বর্তমান প্রজন্ম পুজোর দায়িত্ব নিয়েছে আনুমানিক ২৫ বছর।
তাদের দেবী রাজ রাজেশ্বরী মাতা রূপে পুজিত হন।
প্রতি বছরই তারা এখানে আসেন।
ট্রলারেই তৈরী হচ্ছে ভোগ রান্না, পুজোর পর সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয় প্রসাদও।
এই পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে রানীরঘাট,শ্রীবাসঙ্গন ঘাটে, পোড়ঘাটে।
তবে বিগত বছরের মতো এবছর বিক্রি নেই মেলায়, আক্ষেপের সাথে জানালো এক পুতুল বিক্রেতা।