সোশ্যাল বার্তা:- সমগ্র বিশ্বজুড়ে ২রা নভেম্বর বৃহস্পতিবার পালিত হলো অল সোলস ডে অর্থাৎ আত্মা দিবস বা মৃত লোকের পার্বণ দিবস।
পুজোর আগে মহালয়ার দিন হিন্দু ধর্মেও পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় গঙ্গায় তর্পণ পড়তে দেখা যায় । মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনার মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করেন পূর্বপুরুষদের এমনকি “মিলাদ শরিফ”অর্থাৎ ছোট ঘরোয়া পরিবেশেই পূর্বপুরুষের শান্তি কামনা এবং স্মৃতিচারণার করার রেওয়াজ আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
সেই রকম খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের জন্য অল সোলস ডে। এটি অবশ্য সারা পৃথিবীতে স্থানভেদেও একই নিয়মে চলে। শক্তি-ভক্তি-নম্রতা মিলিত হয় সমাধিক্ষেত্রে। বড়-ছোট নয় ,ধনী-গরিব নয়, সাদা-কালো নয় এক যোগে মিলিত হয় সকল খৃষ্টধর্মের মানুষ৷ উদ্দেশ্য তাদের পুর্ব পুরুষদের স্মৃতিতে তাদের আত্মা শান্তি কামনা।
বৃহস্পতিবার ঝলমল করতে দেখা গেল কৃষ্ণনগরের খ্রীষ্টীয় কবরস্থানগুলিতে। এদিন ফুল দিয়ে সাজানো হয় কবরগুলি।
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী বাইবেলের বাণী শোনানোর পর পবিত্র জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় কবরগুলির উপর। মোমবাতি জালিয়ে কবরের উপর রাখা হয়। ফুল, মালা, ধুপকাঠি দিয়ে প্রার্থনা করা হয় সেই মৃত আত্মার শান্তির জন্য। মৃত ব্যক্তির আত্মার চির শান্তি কামনায় প্রতি বছরই এই দিবসটি পালন করে থাকেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষরা।
কৃষ্ণনগরের ডন বসকো রোডে রয়েছে একটি খ্রিস্টীয় কবরস্থান। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে এখানে।
এখানে আগত কৃষ্ণনগরের অরুনাংশু জে বিশ্বাস জানান দিনটি খ্রিস্টান ধর্মলম্বী মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর তিনি এই দিনে এখানে হাজির হন। ধর্মীয় রীতি মেনে অল সোলসডে অর্থাৎ মৃত মানুষের পার্বণ দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়।