সোশ্যাল বার্তা: কলকাতার একতারা মঞ্চে ১৪ই এপ্রিল শুরু হল দ্বিতীয় দলিত সাহিত্য উৎসব ২০২৩ চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। শুক্রবার এই মঞ্চে সংবর্ধিত হলেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ১ নং ব্লকের যাত্রাপুরের বাসিন্দা মিলন রায়।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স, এমএ ও পিএইচডি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বৃত্তি নিয়ে গবেষণা করেছেন। বর্তমানে কলকাতার আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাস বিভাগে সহ: অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তার গবেষণাধর্মী নানা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে প্রসেডিংস অফ ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস, বঙ্গীয় ইতিহাস সমিতি কলকাতার ইতিকথা ও পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের ইতিহাস অনুসন্ধানের মত বিশিষ্ট পত্রিকায় ও বিদেশের একাধিক পত্র পত্রিকায়। তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে ইতিহাস চর্চা সমৃদ্ধ করেছেন। প্রকাশিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ বাংলার বাগদি জাতি জীবন ধারা সংগ্রাম ও বিবর্তন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নন্দদুলাল মহান্ত মহাশয় । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মনোরঞ্জন বেপারী, সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ দলিত সাহিত্য আকাডেমি সহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন তমালি ঘোষ।
এই প্রসঙ্গে মিলন রায় জানান, প্রতিদিন একলব্য জন্ম নেয় আমাদের ঘরে। অবহেলা, অনাদরে বুনোফল, কলমীর শাক, গেরি গুগলি,আধপেটা খেয়ে, কখনো অভুক্ত থেকেই তারা বেড়ে ওঠে, লড়াই চালিয়ে যায়। তাছিল্য তাদের প্রাণ শক্তি কেড়ে নিতে পারে না। সীমাহীন ‘অপরাধ’এর অন্ধকার ভেদ করে তাদের আপন কথা আরও উঠে আসুক।