বাড়িতেই সুস্থ হওয়ার প্রতীক্ষা ! হাসপাতালে আনতে বিলম্ব, কালাচ সাপের দংশনে প্রাণ গেল এক দশ বছরের শিশুর

Social

মলয় দে নদীয়া :- গরমকাল থেকে বর্ষাকাল এ সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে প্রতিবছরেই। ক্রমশ জলা জমি ভরাট ,জঙ্গল অরণ্য কেটে ফেলার কারণে বাসস্থানের অভাবেই লোকালয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। বিভিন্ন সচেতনতা মূলক প্রচার হলেও, এখনো হয়তো সেভাবে সচেতন হয়নি অনেকেই। আর সেই কারণেই আজ চলে যেতে হল ১০ বছরের ফুটফুটে এক শিশুকে।

অত্যন্ত মর্মান্তিক বিষয়টি নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েতের উত্তর কায়স্থ পাড়ায়। সেখানে পেশায় হকারী কাজের সাথে যুক্ত রতন দেবনাথের বড় ছেলে বাইরে থাকে কাজের তাগিদে। ছোট ছেলে নারায়ণ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন সন্ধের পরে মুড়ি খেয়ে পড়তে বসে বিছানার উপর। এরপর শোয়ার আগে কিছুক্ষণ মোবাইলে কার্টুন দেখছিলো।

মা সন্ধ্যা দেবনাথ জানান, এরপরে তাকে খাওয়ার জন্য ডাকলে সে খেতে চায় না। শরীরটা ভালো লাগছে না বলে শুয়ে পড়ে, এরপরে মশারি টাঙিয়ে দিয়ে ছেলের পাশে শুতেই পেটে ব্যথার কথা জানতে পারে। কিছুক্ষণ বাদে বমি হয়, কিন্তু এ ধরনের উপসর্গ কেন তা তিনি বুঝতে পারেননি ভ্রুণাক্ষরেও। যদিও তার কিছুটা সময় বাদেই, খাটের পাশে থাকা জামা কাপড় রাখা আলনাতে একটি বেশিরভাগ কালো কুচকুচে মাঝে মাঝে সাদা রংয়ের ডুরে এইরকম একটি সাপ দেখতে পান, এরপর তিনি ভয়ে মশারির থেকে না নেমে, চিৎকার করে প্রতিবেশী দের ডাকেন। প্রতিবেশীরা এসেও লক্ষ্য করেন ওই সাপটিকে কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যে সাপটি কোথায় মিলিয়ে গেছে তা কেউই লক্ষ্য করতে পারেননি।

তবে কালাচ সাপে কামড়েছে নিশ্চিত হওয়ার পরেও কেটে গেছে প্রায় আরো দু ঘন্টা এরপর ভোর চারটে নাগাদ অতিরিক্ত শরীর খারাপ হওয়ার কারণে ওই শিশুকে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে। একদম অন্তিম সময়ে এভিএস দিলেও মাত্র আধঘণ্টা পরেই মারা যায়।

চিকিৎসকরা সচেতনতার উদ্দেশ্যে, এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাঝেমধ্যেই বলে থাকেন সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য কিন্তু এখনো সে বিষয়ে যদি কেউ সচেতন না হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এমনই শোকের ছায়া নেমে আসে।

Leave a Reply