অভিজিৎ হাজরা , জগৎবল্লভপুর, হাওড়া:-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সচেতনতা নিয়ে এতো প্রচারের পরেও জনমানসে ছড়িয়ে পড়ছে, বিভিন্ন সময় বাঘের ভয়ের গুজব। শিক্ষিত মানুষের কাছে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সম্পুর্ণ তথ্য না থাকায়, তাদের মধ্যে একই ভাবে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি কালে জগৎবল্লভপুরে বাঘরোল দেখে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ছিল গোটা এলাকা জুড়ে।
তাই ‘ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন ‘ এবং শোভারানী মেমোরিয়াল কলেজের নেচার ক্লাব ‘প্রকৃতিবীক্ষণ ‘, জুলজি ডিপার্টমেন্ট এবং IQAC র যৌথ উদ্যোগে ,জগৎবল্লভপুর শোভারানি কলেজের ছাত্র ছাত্রী অধ্যাপক ও শিক্ষা কর্মী দের নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই কর্মশালা তে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট বাঘরোল সংরক্ষক গবেষক তীয়াসা আঢ্য নিজে হাতে ছাত্রীদের হাতে কলমে শেখালেন বাঘরোল সংরক্ষণ করতে গেলে ক্যামেরা ট্রাপ কী ভাবে লাগাতে হয় । গোপনে কী ভাবে বন্যপ্রাণী দের মানসিকতা, গতিবিধি স্টাডি করা সম্ভব ক্যামেরা ট্রাপের মাধ্যমে । সেটাকেই অস্ত্র করে কী ভাবে এলাকার পড়শি বন্যপ্রাণীদের চেনা সম্ভব । সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো কলেজ পড়ুয়াদের।
উপস্থিত ছিলেন মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত মোকাবিলা নিয়ে কাজ করা ‘ ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন ‘ এর শুভ্রদীপ ঘোষ। তিনি ছাত্রদের কাছে তুলে ধরেন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে কী ভাবে নিজের গ্রামে পাড়াতে মানুষের মধ্যে সংরক্ষণের প্রয়োজনিয়তা তুলে ধরা যায় ,কী ভাবে বন্যপ্রাণী দের নিয়ে গুজব মোকাবিলা করা সম্ভব।
নতুন এই সংরক্ষন পদ্ধতি ও কর্মশালা নিয়ে ছাত্র ছাত্রী দের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
গবেষক তীয়াসা আঢ্য কে কাছে পেয়ে ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপকরা সবাই খুব আপ্লুত হন।
জুলজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপিকা
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা সংগীতা হাজরা বালিয়াল বলেন, ‘ এই বিশেষ কর্মশালা ছাত্র-ছাত্রীদের বন্যপ্রাণী বিশেষত বাঘরোল সম্পর্কে বিশেষভাবে পরিচিত হতে সহযোগিতা করবে এবং তারা ফিরে গিয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষদের সচেতন করতে পারবে ‘ ।
অনুষ্ঠানের উদবোধন করেন অধ্যক্ষ ড: কল্যাণ কুমার মন্ডল।
প্রজেক্টেরের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয় বাঘরোল সম্পর্কিত আধুনিক তথ্য ।
দেখানো হয় তথ্যচিত্র
‘ মাছবাঘা ‘ ।
ছাত্রীদের হাতে এই ক্যামেরা ট্রাপের মতো নতুন গ্যাজেট পাশের রজ্যের চিল্কা সংরক্ষণ মডেল এর মতোই সফল হবে বলে আশা করছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষকরা ।