মলয় দে, নদীয়া:- থ্যালাসেমিয়া রোগের সচেতন বার্তা নিয়ে গৃহবধূ পাপিয়া কর বানালেন নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর বাসিন্দা গৃহবধূ পাপিয়া কর এর আগে একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের সুবাদে এসেছেন খবরের শিরোনামে। ২০১১ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন ফেলে দেওয়া বস্তু দিয়ে এছাড়া পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে তৈরি করে চলেছে নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা। শুধু তাই নয় সেই সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের জন্য তিনি কেনেন প্রতিবছর দুর্গাপুজোর নতুন জামা কাপড়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, এবছর কাগজ আর আঠা দিয়ে তৈরি করেছেন তিনি মায়ের মূর্তি।
প্রসঙ্গত নদিয়া জেলায় প্রতিবছর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হন বহু মানুষজন। থ্যালাসেমিয়া রোগের থেকে মুক্তি পেতে এবং সচেতনতা বার্তা দিতেই গৃহবধূ পাপিয়া কর তৈরি করেন এ বছর এক বিশেষ দুর্গামূর্তি। তিনি জানান এ বছর তিনি দুর্গা মাকে একজন সাধারণ মেয়ের রূপ দিয়েছেন। যিনি হাতা খুন্তি নিয়ে সংসার করেন সাজগোজ করেন বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন এবং তার পাশাপাশি সমাজকে সচেতন বার্তাও দেন। মা দুর্গার হাতে দেওয়া হয়েছে, রক্তের প্যাকেট। অসুরকে থ্যালাসেমিয়ার প্রতিটি হিসেবে দেখানো হয়েছে এখানে। মা দুর্গার নিজ হাতে রক্ত নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন সকলকে রক্ত দান করতে সমাজের স্বার্থে। এবং তার পাশাপাশি মানুষের স্বার্থে এগিয়ে আসা উচিত সকলকেই। এই বার্তায় তিনি এ বছর দুর্গাপূজোয় দিতে চান বলে জানান।
এছাড়াও গনেশ কার্তিককে থ্যালাসেমিয়ার বার্তা বাহক হিসেবে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। লক্ষ্মী এবং সরস্বতীকে একজন সাধারণ মেয়ের রূপ দিয়েছেন তিনি।
বেশ কয়েক মাস ধরে নিজ হাতে গৃহবধূ পাপিয়া কর বানিয়েছেন এই দুর্গা প্রতিমা। তার এই মহান উদ্যোগে খুশি পরিবার সহ আত্মীয়-স্বজনেরাও। তিনি চান প্রত্যেক বছরের মত এবছরও এই দুর্গা প্রতিমা বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে দু:স্থ মানুষদের পুজোর সময় নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে।