দেবু সিংহ,মালদা: স্বামী স্ত্রীর বিবাদের মৃত্যু হল ১০মাসের শিশুর অভিযোগ। এমন ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি এলাকায়।নিজের স্বামী, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে শিশু সন্তানকে খুনের অভিযোগ করলেন স্ত্রী। বিচার চাইতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে লিখিত অভিযোগ মায়ের। মৃত শিশুর নাম মোঃ আরিফ বয়স ১০ মাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বছর খানেক আগে সাবিনা খাতুনের বিয়ে হয় তালগাছি এলাকার মোক্তার হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য সাবিনাকে চাপ দিতে থাকে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি। এরই মধ্যে সাবিনার বাবা মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যঙ্কে ব্জমা করে। সাবিনার নামে এটিএম কার্ড থাকায় সেই এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সাবিনার স্বামী। দিতে অস্বীকার করতেই চারদিন আগে সাবিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং তার দশ মাসের শিশু সন্তানকে কেড়ে নেওয়া হয়। আজ সকালে সাবিনা জানতে পারে তার শিশু সন্তান শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি নামে থানায় তার ১০ মাসের শিশুর হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন সাবিনা খাতুন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। আটক করা হয় শ্বশুর মোহাম্মদ ইরফান এবং শাশুড়ি সানোয়ারা বিবি কে। পলাতক সাবিনার স্বামী মুক্তার হোসেন। এদিকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে সন্তান হারা মা সাবিনা খাতুন জানান আমার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আমার বাবা দিয়েছিল। সেই টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে বারবার স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি চাপ দিত। ওই টাকা না দেওয়ায় আমাকে শশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং আমার কোলের সন্তানকে কেড়ে নেওয়া হয়। আজকের শুনতে পাই আমার ছেলেটা মারা গেছে। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে বলে আমি মনে করছি। আমি ওদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে ভালুকা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
