পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় মালদহের আদিনা ফরেস্টে

Social

দেবু সিংহ,মালদা- পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় মালদহের আদিনা ফরেস্টে। প্রতিবছর আদিনা ফরেস্টার একাংশ জুড়ে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। এখানে তারা দীর্ঘদিন বাসা বেধে থাকে। ডিম দিয়ে বাচ্চা হলে তারপর আবারো উড়ে চলে যায় পড়ে যায় পাখির দল।

মূলত মালদহের আদিনা ফরেস্টে মে মাস থেকে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত এখানেই থাকে তারা। আর এই সময়েই আদিনা ফরেস্টে পাখি দেখার ভিড় বাড়তে থাকে পর্যটকদের। মালদহ জেলা ও আশেপাশের জেলা থেকে বহু পর্যটক নিয়মিত পাখি দেখতে ভিড় করেন এই ফরেস্টে।
বর্তমানে আদিনা ফরেস্টের একাংশ জুড়ে গাছের মগডালে শামুকখোল পাখির আনাগোনা। বাসা তৈরি করছে, কেউ আবার উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিছু কম পাখি এসেছে এমনটাই দাবি বন দফতরের কর্মীদের।

আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখিদের থাকার মত নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। পাখি দেখার জন্য মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিপ্রেমী মানুষের আসেন এখানে।

মালদহ জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজনন করার জন্য মূলত এখানে আসে শামুকখোল প্রজাতির পাখি। মে মাস থেকে পাখি আসা শুরু হয়। মূলত হিমালয়ের পাদদেশে থেকে মালদহের আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল প্রজাতির পাখি আসে। এই বছরেও মে মাসে প্রথম শামুকখোলা পাখি দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। আগষ্ট মাসে সব থেকে বেশি পাখি দেখা যায়। এখানে পাখিগুলো বাসা তৈরি করে থাকে। সেখানে ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে আবার ফিরে চলে যায়। বন দফতরের কর্তারা জানান, এক একটি বাসায় তিন থেকে চারটি করে
বাচ্চা হয়। বাচ্চা একটু বড় হয়ে উড়তে শিখলেই চলে যায়। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে যেতে শুরু করে।প্রতিবছর বন দফতরের উদ্যোগে এই শামুকখোল পাখির সুমারি করা হয়। এই বছরেও পাখি সুমারি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে নিয়মিত পাখিদের দেখভাল ও অন্য কোন সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন আদিনা ফরেস্টের বন কর্মীরা। পর্যটকাও যাতে সুষ্ঠুভাবে পাখি দেখতে পারেন সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply