মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শন্তিপুর বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গভাররচর বটতলা ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনের সমস্যা লেগেই ছিল নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। প্রশাসনকে একাধিক বার জানিয়েও সুরাহা মিলছিল না। অবশেষে টনক নড়েছে প্রশাসনের। আর সেই কারণেই গঙ্গা ভাঙন রুখতে তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন।
শান্তিপুর বেলঘড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গভরচর বটতলা ঘাটে গঙ্গা ভাঙন রোধের প্রথম পর্যায়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এবার শান্তিপুরের অন্য একটি গঙ্গা ভাঙ্গন এলাকার কাজ শুরু হলো। রবিবার সকাল থেকে গঙ্গা ভাঙ্গন রোধের দ্বিতীয় পর্যায় শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা পাড়ার খাট থেকে শুরু করে ১২৫০মিটার চড় সাগর ঘাট পর্যন্ত শুরু হলো কাজ।
জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর উদ্যোগে গভারচর এবং চরসাগর এলাকায় গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার স্থানীয় মানুষদের দীর্ঘদিনের সমস্যা গঙ্গা ভাঙনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হল রবিবার সকাল থেকেই।
জানা যায় আর্থিক ৩,৩৫,২৩,৫৮৫.৭৮ টাকার সরকারি আনুকূল্য এই কাজ শুরু হয়েছে। এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার সময় দেওয়া হয়েছে ৪৫৮ দিনের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের এই উদ্যোগে আপাতত নিজেদের ভিটেমাটি হারা থেকে রেহাই পেলেন গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান, “এখানকার মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গঙ্গা ভাঙ্গন। চরসরাগর, গবার চর ইত্যাদি এলাকার মানুষদের। ১২০০ মিটারের কাজ অনুমোদন হয়ে গেছে। সেই কাজের প্রাথমিক পর্বের কাজ শুরু হচ্ছে। সাড়ে চারশ দিনেরও বেশি এই প্রকল্প চলবে। এবং অন্তিম পর্বে যেটা আপনারা জানেন এখানে কালো বস্তা দিয়ে পার্মানেন্ট কাজ শেষ করা হবে। এই অঞ্চলে মাননীয় সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এসেছিলেন এবং উনি কথা দিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয়ভাবে যেটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিংয়েও কথা দিয়ে গিয়েছিলেন এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করেছেন এবং এই প্রকল্প পাশ করিয়েছেন।”