নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর হয়ে “চৈতন্য জগন্নাথ ” এক্সপ্রেস চালু হবেই নবদ্বীপে বললেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার

Social

মলয় দে নদীয়া: নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর হয়ে “চৈতন্য জগন্নাথ ” এক্সপ্রেস চালু হবেই নবদ্বীপে বললেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

রবিবার দেশের ৫০৮ টি স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার নবদ্বীপে আসেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

এদিন তিনি রেলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একাধারে যেমন দেশে রেলে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, পাশাপাশি আগামী দিনে ভারতবর্ষে রেলের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করতে শোনা যায় সাংসদের গলায়।

নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে ইতি মধ্যে চলমান সিড়ি, লিফট, দ্বিতীয় ওভার ব্রীজ সহ যাত্রী নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য একাধিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে ও কিছু কাজ এখনো চলছে, পাশাপাশি নবদ্বীপ ধামের প্লাটফর্মও দেশের দৈর্ঘ্যতম প্লাটফর্মের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য স্থানে রয়েছে।

নবদ্বীপ ধাম যেমন একাধারে ঐতিহাসিক, ঐতিহ্যে মোড়া পাশাপাশি এখানেই জন্মেছিলেন স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু, ফলত তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে নবদ্বীপ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য মঠ মন্দির, এরই সাথে নবদ্বীপের মায়াপুরে ইস্কনে তৈরী হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ মন্দির, যাকে ঘিরেও নজর রয়েছে বিশ্ববাসীর।

নবদ্বীপকে ঘিরে এত কিছু থাকার ফলে বছরভরই দেশ বিদেশের তীর্থযাত্রী সহ ভক্ত সমাগমে মুখরিত থাকে।

আর এবার নবদ্বীপ ধাম থেকে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হবার কথা কার্যত একপ্রকার ঘোষনাই করলেন রবিবার সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

তিনি বলেন রেলমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন নবদ্বীপ ধাম থেকে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর হালিশহর, ব্যান্ডেল হয়ে পুরীর একটি ট্রেনের।
তিনি আরও বলেন সেই ট্রেনটির নামও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রেনটির নাম হবে ” চৈতন্য জগন্নাথ এক্সপ্রেস ”

তিনি জানান চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম লীলা ক্ষেত্র পুরীধাম,
আর এই ট্রেনটি চালু হলে এই এলাকার মানুষ দীঘা পুরী যেতে পারবে খুবই সহজে।

তিনি আরও দাবী করেন যেহেতু এখানেই জন্মেছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভু, আর এখানেই তৈরী হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ মন্দির সেকারনে এটা ভবিষ্যৎ এ সারা বিশ্বের সনাতনীদের রাজধানী হবে,শুধু তাই নয় নবদ্বীপ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তীর্থ ক্ষেত্র হতে চলেছে।

রবিবারের এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি আরও বলেন রেলের এই রুটে ট্রেন চালাতে নবদ্বীপে যে রেল ব্রীজটি জমিজটে আটকে আছে সেটাও সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও মানুষদের পুনর্বাসন দেওয়া এই প্রক্রিয়া গুলো রাজ্যের। রাজ্য যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবে এই কাজটিও ততটাই দ্রুত হবে।

Leave a Reply