মাত্র ১৪ মাসে এক শত জোড়া কর্নিয়া সংগ্রহ! নদীয়ার অজয় দে মেমোরিয়াল কালেকশন সেন্টারে কর্নিয়া সংগ্রহ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শীর্ষে

Social

মলয় দে, নদীয়া: নদীয়ার শান্তিপুর মরমির পথচলা শুরু হয় ২০১১ সালে।

প্রথম কর্ণিয়া সংগ্রহ হয় ২০১৪ সালে প্রয়াত সর্বমঙ্গলা দে-র সূত্রাগড়ের বাসিন্দার মহৎ দানে। তখন থেকেই শান্তিপুর মরমি ব্যরাকপুর প্রভা আই ব্যঙ্কের সহযোগিতায় কর্ণিয়া সংগ্রহ করতো।

শান্তিপুর মরমি দ্বারা পরিচালিত অজয় দে মেমোরিয়াল আই কালেকশন সেন্টার এককভাবে প্রথম কর্ণিয়া সংগ্রহ শুরু করে ১৭ই জুন ২০২২ প্রয়াত শিবতোষ বন্দোপাধ্যায়ের মহৎ দান দিয়ে, তিনি তামাচিকা পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত, ১০০ জনের মোট দুশোটি কর্নিয়া সংগৃহীত হয়েছে।
দুদিন আগে আগমেশ্বরী স্টেটের বাসিন্দা সন্ধ্যা করের পরিবারের সহযোগিতায়।

গতকাল শান্তিপুর তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার ৮৬ বছরের বৃদ্ধা মহামায়া কর্মকারের মৃত্যুর পর তার পরিবারের মহানুভবতায়, ১০১ তম সংগ্রহ হয় শান্তিপুর মহাশ্মশানে।

বিগত ১৪ মাসের কর্ণিয়া সংগ্রহের বিশ্লেষণে শান্তিপুর মরমির অজয় দে মেমোরিয়াল আই কালেকশন সেন্টার পশ্চিমবঙ্গে কর্ণিয়া সংগ্রহের শীর্ষে। ২০২টি কর্ণিয়া ১৪ মাসে সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১৪+ কর্ণিয়া এম.কে.মিডিয়াম দ্বারা আই ব্যঙ্কে প্রেরণ করা হয়েছে, যার সিংহভাগ প্রতিস্থাপন যোগ্য।

২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত ১২৮টি কর্ণিয়া, অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে ১৯টি করে কর্ণিয়াল টিসু আই ব্যঙ্কে পাঠানো হচ্ছে প্রতিস্থাপনের জন্যে।
এ ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শান্তিপুর পৌরসভার শব বাহি গাড়ি এবং দাহ করার খরচ মুকুব করার পর থেকে অনেকটাই সহজ হয়েছে সংগ্রহ। তবে মানুষের সচেতনতাও অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে কর্নিয়া সংক্রান্ত কারণে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা নবদৃষ্টি ফিরে পেয়ে প্রচার কাজে সহযোগিতা করছেন।

Leave a Reply