মলয় দে নদীয়া :- এক কড়াই গরম তেল, তাতে টগবগ করে ফুটছে তৃণমূলের জোড়া ফুলের নির্বাচনী প্রতীক চিহ্নের জিলিপি, তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচারে বেরিয়ে রথ টানার সাথে উৎসবের শামিল হওয়া এবং পথচলতি সাধারণ মানুষদের কেজি কেজি বিলোলেন সেই জিলিপি।
অভিনব এই প্রচার নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া 2 নম্বর পঞ্চায়েতের গবারচর এলাকায়। তবে কড়াইতে উষ্ণতা থাকলেও বিভিন্ন দলের ভোট প্রচার বৃষ্টিস্নাত বিকালের রথের মেলার মতোই শান্ত।
সেখানে আজ উল্টো রথের বিকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন২৪৯ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণপদ রাহা,সমিতিতে পুতুল দাস। যদিও অন্যত্র প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রার্থী বাসন্তী সরকার।
তবে ২৫৯ নম্বর বুথে কৃষ্ণ বাবুর স্ত্রী গতবার এবং তার আগে একবার নিজের পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছিলেন এই বুথ থেকেই। এবারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির গৌরাঙ্গ বিশ্বাস
সিপিআইএমের লক্ষী রাহা। তিনি অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে রাজি নন কারণ তার এলাকায় ভোট হয় উৎসবের মেজাজে। জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে কৃষ্ণবাবু বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে বিভিন্ন ধরনের মানবিক প্রকল্প মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে, তাতে শুধুমাত্র ভোটে অবতীর্ণ হওয়ার কথাটা সাধারণ মানুষকে জানানো ছাড়া আর তার কোনো কাজ নেই। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীও তার সমর্থনে এসেছিলেন গ্রামে। সর্বোপরি শান্তিপুরের রূপকার প্রয়াত অজয়দে র আশীর্বাদে তিনি গ্রামে অত্যন্ত সুপরিচিত।
আজ ভোট প্রচারে যাওয়ার সময়, তারই এলাকায় গৌতম সরকারের দোকানে জিলিপি কিনতে গিয়ে লক্ষ্য করেন একটি ফুলের আকৃতি নিয়েছে। এরপর তিনি তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন জোড়া ফুল তৈরি করতে বলেন। রথের রশি টান দিয়ে, উৎসবে শামিল হওয়া এবং পথচারী সকলকে মিষ্টিমুখ করান, জোড়া ফুলের প্রতীক চিহ্ন জিলাপি খাইয়ে। তবে আশীর্বাদ নিতে ভোলেননি এরই মধ্যে।
দোকানদার গৌতম সরকার জানান, মূলত তাদের মুদিখানা এবং দশকর্ম দোকান তবে দুই রথে জিলিপিও ভাজা হয়। কড়াইতে জিলিপির প্যাচ থাকলেও এলাকায় সকলেই সহজ সরল মানুষ। তার বোনের শ্বশুর বাড়ির অনুরোধে এবার পাশের বুথে সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে বোন মনমেহনী সরকার। যদিও সিপিআইএমের প্রতীক চিহ্ন আঁকা খুব কঠিন এবং অর্ডারও পড়েনি তাই জিলিপি তৈরি করা হয়নি। অন্যদিকে বিজেপির পদ্মফুলেরও অর্ডার পড়েনি। তবে যদি পড়তো সে ক্ষেত্রেও কোনো বাধা ছিল না, কারণ প্রথমত ব্যবসা সকলের জন্য, দ্বিতীয়ত এই এলাকার উৎসবের চেহারায় ভোট হয়।