মলয় দে নদীয়া :- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মই, লাঙ্গল, আম ,জোডা পাতা, সাইকেল , চেয়ার, এ ধরনের কত কিছু দিকে দিকে নির্দল প্রার্থীদের প্রতীক চিহ্ন সকলেরই জানা।
তবে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর কুড়ি নম্বর গ্রাম সভায়, নির্দল প্রার্থী লালটু ঘোষ, নির্বাচন কমিশনের কাছে তার প্রতীক চিহ্ন হিসেবে চেয়ে নিয়েছেন বটগাছ।
একটি বটগাছ তলায় গ্রামের সকলে যেমন আশ্রয় নেয়, জয় লাভের পর তার পরিষেবাও দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই পৌঁছে যাবে, তা বাদে পরিবেশ রক্ষার তাগিদ তো রয়েইছে। আর সেই কারণে, আজ থেকে তিনি তার অনুগামীরা ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন গাছ হাতে।নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, জিতলে মানুষের বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া ছাড়াও নিয়মিত বনসৃজন এবং গাছ কাটার বিরুদ্ধে চলবে আন্দোলন।
লালটু বাবু এলাকায় সুপরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে, তার কথা অনুযায়ী এই এলাকায় প্রসাদ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়েছে কিছু স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নেতৃত্বকে ভুল বোঝানোর কারণে। অথচ গ্রামের মানুষ চেয়েছেন লালটু ঘোষকেই, তাই বাধ্য হয়ে, নির্দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।
জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ লালটু ঘোষ বলেন জয়ের পরে তিনি তৃণমূলেই ফিরবেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়ানো আনোয়ার হোসেন মন্ডল এবং জেলা পরিষদে রিক্তা কুন্ডু কে ভোট দেওয়ার জন্যও, তার ভোটারদের অনুরোধ জানাচ্ছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দেবাশীষ গাঙ্গুলীর, অনুরোধ নির্দেশ অগ্রাহ্য কেন এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার নির্বাচনক্ষেত্রে সিপিআইএম বা কংগ্রেস প্রার্থী নেই, নির্দল হিসেবে তিনি, তৃণমূলের প্রসাদ ঘোষ, এবং বিজেপির শ্যামল ঘোষ প্রার্থী।
কখনো বাম কখনো রাম করা একজন অযোগ্য প্রার্থী দেওয়ায় , এই আসনটি বিজেপি জয়লাভ করতে চলেছিলো। গ্রামের মানুষের ইচ্ছা মান্যতা দিয়ে, তার দলকে অপমানিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করছেন তিনি।