নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে নদীয়ায় এই প্রথম ভোটে অংশগ্রহণ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “জলঙ্গী নদী সমাজ” এর সদস্য

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদিয়ায় এই প্রথম নদী এবং পরিবেশের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ। সংগঠকরা বলেন,ঠিক সরাসরি রাজনীতি তে যাওয়া নয়, সাড়া ভারত বর্ষের কাছে একটাই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা, নদী বা পরিবেশ নিয়ে যারা এতদিন ছিনিমিনি খেলে এসেছে, তারা যদি এই নিয়ে ভবিষ্যতে না ভাবেন তাহলে আগামী দিনে আমরা সংগঠিত ভাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজেরাই দল তৈরি করে দাঁড়াবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে ।আমরা কোনো পলিটিক্যাল পার্টি নই। আমরা প্রকৃতির জন্য লড়াই করছি। আগামী প্রজন্মের জন্য সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।

নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য দেশের কাছে রাষ্ট্রের কাছে একটা বার্তা, এতদিন ধরে যারা নদী ও পরিবেশ নিয়ে উপেক্ষা করেছেন, তারা যদি ভবিষ্যতে নদী ও পরিবেশ কে নিয়ে না ভাবেন, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে দল গঠন করে নির্বাচনে লড়া।

তারা জানিয়েছে, আপাতত ZP 24 কৃষ্ণনগর -1 জিলা পরিষদ এর নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তাদের মতে, ১ টি জিলা পরিষদ এ প্রার্থী দেওয়া মানে প্রায় ১০০ টি গ্রামে প্রচার চলবে আমাদের সংগঠনের সামর্থ্য অনুযায়ী, সাথী সংগঠন গুলির প্রতিনিধিরা আসবেন সাড়া বাংলা থেকে, সভা করা হবে বেশ কটি, এছাড়া মাইকিং, লিফলেটিং, দেওয়াল লিখন, পোস্টার সবই থাকবে, সাথে ডিজিটাল ও social media campaign তো থাকবেই।

সংগঠনের সদস্যরা বলেন,জিলা পরিষদ প্রার্থী হিসাবে আমাদের দাবী গুলিকে যারা সমর্থন জানাবেন তারা সকলেই ভোট দিতে পারবেন।

তবে তারা এও বলেন,আমরা হারা জেতা নিয়ে চিন্তিত নয়, আমরা ১০০ টা গ্রামে আমাদের নদী নিয়ে দাবি ও বার্তা ছড়িয়ে দিতে বেশি আগ্রহী।
আর আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী বলতে গেলে আমাদের ৪ বছর ধরে যে দাবী গুলো নিয়ে কাজ করছি, সেই দাবী গুলোই তখন আমরা পূর্ণ করার জন্য কাজ করবো পূর্বে আমরাই প্রথম নদীকে সম্পূর্ন বাঁধাল মুক্ত করতে আন্দোলন করেছিলাম, নদী এখন বাঁধাল মুক্ত, এখন নদীকে কোমর ও কচুরী পানা দুর করতে হবে, মৎস্যজীবীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে তাদের সুরক্ষা ও তাদের জীবিকা ও সমবায় সমিতি গুলিকে পুনর্জ্জিবিত করতে হবে, নিয়মিত মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা, জল পরীক্ষা, ইঁট ভাঁটা, মাটি কাটা, নদীর উপর অবৈধ নির্মাণের বিরোধিতা করা
ব্রিজ তৈরীর নামে অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক ভাবে নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ করা,
গ্রাম/শহরের অপরিশোধিত বর্জ্য কে STP র মাধ্যমে দূষণমুক্ত করে তবেই নদীতে ফেলা, ছাড়াও বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে আমাদের।
তবে প্রতীক হিসাবে নদী চিহ্ন হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সংশয়ে রয়েছেন রয়েছেন তারা। জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলেন, সচেতন নাগরিক হলেই মুখ ফেরাতে পারবেন না তাদের থেকে, আগামীতে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকেই হয়তো সারা রাজ্যে হাজার হাজার পরিবেশকর্মীরা সমর্থন জানাবেন তাদের।

Leave a Reply