মলয় দে নদীয়া :- সারা ভারত ভারত সনাতনী বাদ্যযন্ত্র এবং ভক্তিগীতি শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তোলা শিল্পী সংসদের তত্ত্বাবধানে গত ২০১৭ সালে প্রথম কলকাতার বাগবাজারে মহাসাড়ম্বরে জগন্নাথের রথ শুরু হয় বিশিষ্ট জনদের উপস্থিতিতে । সেদিন হনুমান মন্দির পর্যন্ত রথ টানে উপস্থিত ছিলেন অনেক রথি মহারথীরা।
অথচ উল্টোরথের পর সকলেই এক এক করে চলে গেলে পড়ে থাকে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার সুবিশাল কাঠের মুর্তি । নদীয়ার শিল্পী সংসদ সদস্য হিসাবে শান্তিপুরের ধ্রুব নারায়ণ গোস্বামী বাড়িতে রাখার জন্য অনুরোধ জানান কর্মকর্তাগণ। এবং সেইমত রথ চলে যায় নবদ্বীপে শিল্পী সংসদের অন্যতম সদস্য সিদ্ধার্থ নস্করের বাড়িতে।
শান্তিপুরের ধ্রুব নারায়ণ গোস্বামীর অভিযোগ ছিলো, এরপর দু’বছর করো না পরিস্থিতি থাকলেও বাকি পাঁচ বছর এক প্রকার কাফিলতিতেই রথযাত্রার অনাড়ম্বে, ভক্তদের মাঝে উপস্থিত হতে না পেরে ভগবান থাকে গৃহবন্দী।
তার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে, নিত্য পূজো থেকে শুরু করে, ব্যয় সাপেক্ষ অঙ্গরাগ তাকে জোগাড় করতে হয় ভক্তদের কাছে চেয়ে চিনতে। কিন্তু শিল্পী সংসার তাদের সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করেনি। এ ব্যাপারে নদিয়া জেলায় শিল্পী সংসদের দায়িত্বে থাকা এই জেলারই নবদ্বীপে বাড়ি সিদ্ধার্থ নস্করও। তবু নারায়ণ বাবুর স্ত্রী গীতা দেবী বলেন ,এরপর দিলীপ ঘোষ মুকুল রায় সংসদ জগন্নাথ সরকারদের মত অনেক জনপ্রতিনিধি জগন্নাথ দেখতে আসলেও তার খোঁজখবর নেন নি কেউই। তবে রাজনীতি দেখে নয়,ভাগবত পাঠ পদাবলী কীর্তন গাইয়ে পরিবার হওয়ার কারণে শিল্পীদের সংগঠনে যোগদান করেন গর্বের সাথে।
এ ব্যাপারে, সিদ্ধার্ত বাবু বলেছিলেন শিল্পী সংসদের জগন্নাথ। উনি আগ্রহ প্রকাশ করে ওনার বাড়িতে বিদ্রোহ নিয়ে যান বা আমরাই ওনার বাড়িতে বিগ্রহ রাখি। কিন্তু উনি যে এরকম অসুবিধায় রয়েছেন তা আমরা জানতে পারিনি। উনি আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী। আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুতই ওনার এই সমস্যার সমাধান করার।”
খবর প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, শিল্পী সংসদের দায়িত্বে থাকাসিদ্ধার্থবাবু নবদ্বীপ থেকে সহপারিষদ এসে পৌঁছান শান্তিপুরের ধ্রুবনারায়ন গোস্বামীর বাড়িতে। এবং তিনি কথা দেন, সাত বছর আগের মতই এবছর আবারও মহাসাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রথ। নদিয়ার নবদ্বীপ শান্তিপুর থেকেই শুধু নয় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্তরা পৌঁছাবেন সেখানে । বিখ্যাত মানুষজন থাকবেন সেখানে।