ভুলের মাশুল বেড়ে পাঁচ গুণ !  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যুক্ত করার চার্জ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি বিদ্যুৎ দপ্তরের 

Social

মলয় দে, নদীয়া :-জোর কা ঝটকা ধীরে সে লাগে, তবে সুবিবেচক সিদ্ধান্তকারী হলে।
এক্ষেত্রে শুধু ঝটকাই নয়! এক সিদ্ধান্তে তড়িতাহত হওয়ার মতন টেনে হিঁচড়ে গ্রাহকদের পীড়ন করার মতন , অমানবিক সিদ্ধান্ত , এমনটাই মনে করছেন  ডব্লিউবিএসইডিসিএল গ্রাহকরা।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, জানিয়ে দুশ্চিন্তায় সমস্ত গ্রাহককুল । সেখানে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যুক্ত করার চার্জ এতদিন পর্যন্ত যথাক্রমে ৪০ এবং ৬০ টাকা ছিলো অর্থাৎ মোট ১০০ টাকা। যা এখন পরিবর্তিত হয়ে ২০০ এবং ৩০০ টাকা করা হয়েছে অর্থাৎ মোট পাঁচশ টাকা।
তবে সিদ্ধান্তটি হয়েছে গত ৩০ .০৩. ২০২৩ তারিখের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা কার্যকরী হয়েছে গত পয়লা মে থেকে।
এ প্রসঙ্গে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারী বিলগ্নীকরণের পথে হাঁটছে, তাঁত প্রধান এলাকার শান্তিপুরে কমার্শিয়াল করার বিপক্ষে এবং ইউনিট চার্জ কমানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন করে আসছে দল। মেলা খেলা দিয়ে সাময়িক সন্তুষ্ট করতে চায় এ সরকার, আদতেও সর্বসাধারণ মানুষের সামনে সমূহ বিপদ।
বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মরার উপর খাঁড়ার ঘা। যে প্রান্তিক পরিবার গুলি অর্থাৎভাবে বিল মেটাতে পারেনি, তারা এত মোটা ফাইন কিভাবে দেবে? আদতেও দেউলিয়া হয়ে গেছে এ সরকার, ঢালাও মদের লাইসেন্স দিয়েও আয় বাড়াতে পারছে না। তার ফলেই জনগণের উপর এ ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত।
শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একসময় লোডশেডিং নামে সরকারের পরিচিত হয়েছিলো বা বাম আমলে। এখন বিদ্যুৎ পরিষেবা অনেক উন্নত, তবে মানুষকে আরো সচেতন করতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত, কিছু মানুষ সমস্যায় পড়বেন ঠিকই, তবে বিদ্যুৎ বিল ইউনিট প্রতি কমানো হয়েছে তাতেই তাদের সাশ্রয় হবে।

যদিও শান্তিপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানুষকে আরো সচেতন করার জন্যই , খুব সামান্য অংশের গ্রাহক এ ধরনের সমস্যায় পড়ে, তবে অস্থায়ী কিলোওয়াট হিসাবে বিদ্যুতের মূল্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং সার্বিকভাবে ইউনিট চার্জ কিছুটা কমেছে।

Leave a Reply