মলয় দে নদীয়া:- বাঞ্ছারামের বাগান ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তপন সিংহ পরিচালিত একটি, অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন মনোজ মিত্র। তাঁরই সাজানো বাগান নাটক অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয়। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং ১৯৮০ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করে, সে কথা সকলেরই জানা। তবে আজও বাঞ্ছারামের পদবী কেউ জানতে পেরছেন কি? বা কোথায় অবস্থিত তার বাগান?
নদীয়ার শান্তিপুরে কিন্তু আমরা খুঁজে পেয়েছি বাঞ্ছারামকে। শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলুই পাড়া বাউসোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বান্ছারাম ধারা। নাম না জানা বহু পুরাতন বাবুর বাগান বাঞ্ছারামের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। চার ভাইয়ের ভাগের ভাগ হিসেবে পেয়েছেন 35 টি লিচু গাছ সহ বাগানের একাংশ। গাছের গুড়ি গুলো দেখেই বোঝা যায় বেশ কয়েকশ বছরের পুরনো। এলাকার প্রবীণরা অবশ্য জানাচ্ছেন তাদের দাদু ঠাকুরদা রাও এই ভাবেই দেখে আসছেন। একটি গাছে 40- 50 হাজার লিচু ফলন হয় আজও। শুধু তাই নয় ভিন রাজ্যের পাইকার ক্রেতারা এই বাগানেই ভিড় করেন। কারণ পুরনো গাছের লিচু স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়।
আলুই পাড়ায় পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লিচুবাগান আছে যার মধ্যে বাঞ্ছারামের বাগান অন্যতম। অনেকে তো বলছেন ফল উৎপাদন এবং পুরাতনের দিক থেকে এটি নদীয়া জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লিচু বাগান।
যদিও সেই বাঞ্ছারামের বাগান এই বাঞ্ছারাম
ধারা কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বান্ছারাম ধারা অতশত জানেন না কিছুই, বরং সিনেমার কথা শুনে তিনি বেশ ঘাবড়ে যান। দিনকাল ভাল নয় কোন কথা থেকে কি হয় সেসব ভেবে বাগানের বিষয়ে খুব বেশি মুখ খুললেন না পরিবারও।
তবে প্রতিবেশীরা জানান,শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ছাগল চরানোতেই তার ভরসা। সম্পত্তির কথা খুব বেশি আলোচনা করতে চান না বাঞ্ছারাম।
কিন্তু চার ভাইয়ের সমগ্র বাগানটি যে তারা অত্যন্ত যত্নেই রেখেছেন তা বোঝা গেছে।