মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া শান্তিপুর পটেশ্বরী স্টীট এর বাসিন্দা অরিজিৎ গুহ বাবার এক সন্তান হলেও বাস করেন একান্নবর্তী পরিবারে। তার একমাত্র সন্তান আজকের দিনে জন্মায় দু’বছর আগে, দ্বিতীয় বছরে ওই বাড়িতে থাকা পিসিমা শান্তি দেবী মারা যান এই শুভ দিনে। পরিবারে শোকের ছায়া গ্রাস করে এক রত্তি দেবায়নের জন্মদিন। মা দেবারতী ও বাবা অরিজিৎ পরিবারের অন্য সদস্যর কাছে প্রস্তাব রাখে, বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেমেয়েদের মাঝে পালিত হোক ছোট্ট আরিয়ান এর শুভ জন্মদিন। অভিভাবকের মতে অবশেষে আজ নিজ বাসভূমিতে, ৩৫ জন বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে নিয়ে, প্রত্যেককে স্কুল ব্যাগ উপহার দিয়ে, কেক কেটে আনন্দে মাতে আরিয়ান। অন্যদিকে বাবা মা পরিবারের গুরুজনেরা বিশেষভাবে সক্ষম অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ৫০ জন বয়স্ক মানুষকে উপহার হিসেবে তুলে যায় কিছুদিনের আহার।
সকলকে রীতিমত চেয়ার-টেবিলে বসিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে ব্যস্ত পরিবার সাথে অবশ্যই কচিকাঁচারা।
বাবা অরিজিৎ গুহ জানান “পিসিমার শোকের ছায়া, অন্যদিকে আরিয়ানের শুভ জন্মদিন পালন একসাথে করার উপায় বাৎলেছেন বাড়ির বড়রাই। এ বিষয়ে অবশ্য আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সঞ্জয় দেবনাথ অনেকটাই সহযোগিতা করেছে।”
মা দেবারতি গুহ জানান “দুজনকে একসাথে খুশি করতে পারব, কখনো ভাবি নি। ভেবেছিলাম আমার আরিয়ানের জন্মদিন বোধহয় কোন বছরই পালন করতে পারব না।আগামী বছর আরো এ ধরনের মানুষের সান্নিধ্যে নিজেদের আনতে পারলে ধন্য মনে করবো।” স্থানীয় প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি সুজন দত্ত জানান “মানুষের সচেতনতা অনেক বেড়েছে আগের থেকে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক সহযোগিতা পাই আমরা। বিশেষভাবে সক্ষম একটি স্কুলের বাচ্চাদের ব্যাগ উপহার তাদের আরও স্কুলমুখী করতে সহযোগিতা করলো। অন্যদিকে বয়সজনিত কারণে এবং শারীরিক কারণে কাজ করতে না পারা মানুষগুলোর কিছুদিনের আহার জোগালো অরিজিৎ, অরিজিতের মত দেবদূত আগামীতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেই আমার বিশ্বাস। নিজেরা একটু কম ভালো থাকলে ভালো রাখা যায় আরো অনেক মানুষকে।”