দেবু সিংহ, মালদা: মোস্তাক আলি বয়স এখন প্রায় ৬৫ জীবনের ছোট বেলা থেকেই টমটম চালক । চালক হিসেবে ঘরে ঘরে একটা সুপরিচিতি নাম মোস্তাক আলীর। মালদা জেলার কালিয়াচক-২ ব্লকের পীরুটোলা গ্রামে তার বাড়ি। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত টমটম চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন।৬৫ বছর বয়সেও নিয়মিত চালিয়ে ও যাচ্ছে টমটম। অন্য কী কাজটাই বা করবেন তিনি ! এই সাতপাচ ভেবে এই কাজকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মে সংগ্রামে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
মোস্তাক বাবু মোথাবাড়ি, অচিনতলা, সিলামপুর ও কালিয়াচক রূটে টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বয়স হয়েছে মোস্তাকের । কিন্ত উদ্যামের ও উৎসাহের ষোলো আনা ঘাটতি নেই । মনের জোর অসীম আর এই মনের জোরই শক্তি মোস্তাকের। একসময় কালিয়াচকের বিভিন্ন সড়কে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ঐতিহ্যবাহী টমটম। এখন কালের নিয়মে নতুন নতুন যানবাহন ও টোটো, অটোর দাপটে হারিয়ে গেছে এই টমটম গাড়ি। বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, সাহাবাজপুর, মন্ডাই, গোলাপগঞ্জ কালিয়াচক প্রভৃতি রুটে টমটমে শব্দে মুখরিত ছিল এক সময়। টমটম গাড়ি চালক মোস্তাকের দাবি, ৫০০ বেশি টমটম চলছিল । যদিও অন্যান্য সূত্র মারফত জানা গেছে কালিয়াচক জুড়ে কয়েক হাজার টমটম চলত। এখন হাতে গোনা কয়েকজন টমটম চালান তার মধ্যে মোস্তাক আলি হলেন অন্যতম। ৩০ বছর বয়স থেকে টমটম চালাচ্ছেন মোস্তাক। এখন তার বয়স ৬৫ বছর। এই বয়সে নিজের মনের খেয়ালে কখনও গানের কলি গেয়ে টমটম চালান যা তার এই চালনার জন্য উৎসাহ দেয় বলে জানান।
মোস্তাকের কথায়, এখন প্যাসেঞ্জার হয় না। শুধুমাত্র দোকানের বা কোন কারবারীর মালপত্র বহন করেই উপার্জন হচ্ছে। দিনে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা উপার্জন হয়। অন্যান্য সব দিন টমটম চালালেও রবিবার বন্ধ রাখতে হয় টমটম ।
যতদিন বাচব টমটম চালাব ও শেষ দিন পর্যন্ত টিমটিম করে জ্বলতে থাকা কালিয়াচকের ঐতিহ্য টমটম বইব বলে জানান প্রবীণ টমটম চালক মোস্তাক আলি।