জাতীয় স্তরে জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় একই সাথে সফল গুরু-শিষ্য

Social

মলয় দে নদীয়া :-মাত্র চার বছরেই অসাধ্য সাধন, যোগার ক্ষেত্রে যেমন, সরকারি অনুশীলন প্রচার প্রতিযোগীতামূলক ব্যবস্থা নানান বিধিব্যবস্থা থাকলেও জিমনাস্টিকে সে ধরনের খুব একটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। কলকাতা এবং শহরতলীতে যদিও বা তা থাকে, নদীয়ার মতন মফস্বলের জেলাগুলিতে তা একেবারেই নেই বললে চলে। তবে জাতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছেলেমেয়েরা অংশ নেবে কিভাবে?

আজ চার বছর আগে, স্রোতের অনুকূলে যোগার সাথেই স্রোতের প্রতিকূলে জিমন্যাস্টিক কে এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখেছিলেন শান্তিপুরের সোমা রায়। গড়ে তুলেছিলেন তরঙ্গিনী জিমন্যাস্টিক ও যোগাসেন্টার। তার কথায়, যোগার অনুশীলনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে শিশুর শরীরের নমনীয় ভাব তৈরি করার পরে তবেই জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এক্ষেত্রে শিশু বয়সে হলেই ভালো। জোকার ক্ষেত্রে ৩০ -৩৫ জন ছাত্রছাত্রী সবসময় থাকলেও, প্রথমের দিকে জিমন্যাস্টিক অনুশীলনের জন্য ছাত্র ছাত্রীর অভাব বোধ করতেন তবে, বর্তমানে এই বিভাগেও ১৫ জন ছাত্রছাত্রী অভিভাবকদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পেরেছেন তিনি।
চলতি বছরেই, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া চারজন ছাত্রছাত্রী জেলা স্তরে অংশগ্রহণ করেছে। তবে খুশির খবর শান্তিপুর নৃসিংহ পুরের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা দাস জেলা স্তরে চতুর্থ হয়ে আসন্ন নয় তারিখে রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। শুধু ছাত্রীর সাফল্যই নয়, দিদিমণি হিসেবে তরঙ্গিনী জিমন্যাস্টিক ও যোগা সেন্টারের শিক্ষিকা সোমা রায়ও নদীয়া জেলার পক্ষ থেকে প্রশিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব দশ বছর বয়সী মেয়েদের যোগা অনুশীলনের। নদীয়ার শিমুরালি তে এই অনুশীলন চলবে।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা সোমা রায় বলেন, ফ্লোর ফ্লোর, বিম, ফিস স্টাইল এবং ভল্ট প্রাথমিকভাবে এই চারটি বিষয়ে অনুশীলন চলে। তবে জেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা, জিমনাস্টিক ফেডারেশনের সহযোগিতায় আরো অনুশীলন কেন্দ্র প্রয়োজন বলেই তিনি মনে করেন। তবে বহু পুরাতন শান্তিপুর দেশবন্ধু ক্লাবের মত দুই একটি ক্লাবে জিমন্যাস্টিক শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে শান্তিপুরে।
স্নেহার বাবা তরুণ দাস, পেশায় একটি ছোট দোকানদার, তিনি বলেন যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে, অত্যন্ত কম খরচে তার মেয়েকে এখানে শেখাতে পারলেও দুশ্চিন্তা, আগামীতে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। ফুটবল ক্রিকেট যোগা র মতন জিমন্যাস্টিকেও সরকারি ভাবে বিশেষ নজরদারী থাকলে , স্নেহার মতন অনেক মেয়েরাই সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে।

Leave a Reply