মলয় দে নদীয়া:- রানাঘাট হবিবপুর পুরাতন বাজারের প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ জাগ্রত শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের পুজো আনুমানিক ৪০০ বছরের প্রাচীন তাকে ঘিরে ১০ দিন ধরে উৎসব মেলা অনুষ্ঠান চলে হবিবপুর পুরাতন বাজারে।
এখানকার শীতলা মা শুধুমাত্র একটা বট বৃক্ষে পূজিত হয়ে আসছে ৪০০ বছর ধরে হে আপনি ঠিক শুনেছেন শুধুমাত্র একটি বট গাছকে ঘিরে মানুষের বিশ্বাস ,ভরসা, কৌতুহল ও বিভিন্ন মতবাদ এই বট বৃক্ষটি শীতলা দেবী হিসেবে পূজিত হচ্ছে কথায় আছে বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর হয়তো এই মায়ের কাছে না আসলে অনেকে বিশ্বাস করতে পারবে না।
অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে কী এমন এই বট গাছ তাকে ঘিরে এত মানুষের কৌতূহল ও বিশ্বাস স্বয়ং মায়ের কৃপা ও ও ১০ দিনের উৎসব উপলব্ধি করতে হলে আপনাকে স্বচোখে মায়ের কাছে আসতে হবে তাহলে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন এই বট গাছটি শীতলা দেবী হিসেবে এত কেন মানা হয়।
মায়ের কী মহিমা এখানে কোনো মূর্তি হিসেবে পূজিত হয়না শুধুমাত্র বট গাছটি শীতলা দেবী হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে ৪০০ বছর ধরে।
কথিত আছে গঙ্গা নদী প্রবাহিত ছিল এই বট বৃক্ষে পাশ দিয়ে কোনো এক সময় চাঁদ সদাগর বাণিজ্য করতে গিয়ে এই স্থানে বটো বৃক্ষ নিজে পূজা দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি শীতলা মায়ের বিভিন্ন সৃষ্টি ও আবিষ্কারের বিভিন্ন মতবাদ আছে এখানে আগে একজন বিহারী সাধুঁ থাকত তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিল মায়েরা ৭ বোন মায়েরা এই বট বৃক্ষে অবস্থান করে আছেন আজও সাধারণ মানুষের ধারণা বিশ্বাস, এই বট গাছে অবস্থান করে আছেন লোক মূখে শোনা যায় অনেক ভক্তকে মা দেখা দিয়েছেন।
মা শীতলা দেবী এতই জাগ্রত যারা মায়ের কাছে আসেন বা পূজা দেন তারা উপলব্ধি করতে পারেন এই দেবী কে ভক্তিভরে ডাকলে মা ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরন করেন এবং অনেকের মনোবাঞ্ছা পূরন হলে তাদের ওজনে বাতাসা ছিটান ভক্তরা ৬ দিনের হরিনাম সংকীর্তনে ৩ টনের অধিক পরিমাণে বাতাসা ছিটানো হয় ভক্তদের মাঝে।
শুধু হবিবপুর গ্রামের মানুষ এই পূজা সামিল হোন না রাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তদের ঢল নামে এই পূজা এবছর ১০ হাজারের অধিক ভক্তদের সমাগম ঘটবে অনুমান করা হচ্ছে পূজা দিতে সকাল থেকে বিরাট লম্বা লাইন পড়ে ভক্তরা ডালা সাজিয়ে অনেন ডাবের জল, গঙ্গার জল, দুধ ,আলতা, সিঁদুর ফল, ফুল নিয়ে এসে মায়ের কাছে ভক্তি ভরে পূজা দেন মহা সমারোহে পুজো হয়, অঞ্জলী পরে ও বিশেষ হোমজঙ্গ হয়।
এই খানে ৫৫ বছর ধরে মায়ের পুজোর দিন ধরে হরিনাম সংকীর্তন প্রতোক বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবছর সাড়ম্বরে মায়ের পুজোর আরাধনা চলছে এই পুজোটা খুব আরম্ভর পূর্ণ জাঁকজমক সহকারে মায়ের পুজো হয়।
পুজোর আগেরদিন অধিবাস পুজোর দিন নিয়ম অনুযায়ী ভোরবেলা মাকে ১০৮ কলশি গঙ্গার জল দিয়ে মাকে স্নান করাতে হবে তাই প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্তদের দেখা যায় ১৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আসা যাওয়া করে শান্তিপুর থানার অন্তর্গত কুমলে গঙ্গার থেকে জল নিয়ে এসে মাকে স্নান করানো হয়।
১০ দিন ব্যাপী এই উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয় পুজোর আগের দিন থেকে শুরু করে পুজো দিন সকালে চন্ডী পাঠের শেষে শুরু হয় অষ্টপ্রহর সংকীর্তন এইভাবেই ৬ দিন ধর অষ্ট প্রহর নাম কীর্তন এবং ২ দিন লীলা কীর্তন চলে। লীলা কীর্তনে সূর্য পূজা শেষে সারারাত রাসনীলা কীর্তন হয় তারপর সবাই বেরিয়ে পরে নগর পরিক্রমা মহোৎসব খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় দশদিনের উৎসব।