দেবু সিংহ, মালদা,:আবহাওয়ার হেরফের, সময়ের অনেক আগেই মালদহে আম বাগান গুলিতে গাছে মুকুল ফুটেছে। আগে মুকুল ফোটাই আম অনেক আগেই পরিপূর্ণ হয়ে পাকতে শুরু করবে। মূলত প্রতিবছর মালদহের আম জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিক থেকে ব্যাপক হারে পাকতে শুরু করে। সাধারণ নিয়ম মত দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে মুকুল আগে ফোটে আম ও আগে পাকে। প্রথমে বাজারে আসে দক্ষিণ বঙ্গের আম। এমনকি মালদহের বাজারেও দক্ষিণের জেলার আম বিক্রি হয়। তবে এই বছর ব্যতিক্রম। আবহাওয়ার হেরফেরের জন্য এই বছর উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে অনেক আগেই মুকুল ফুটেছে। মালদহের বাগান গুলিতেও মুকুল ফুটেছে অনেক আগে।
মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর সময়ের প্রায় ২০ দিন আগে মালদহে বাগান গুলিতে আমের মুকুল ফুটে গিয়েছে। এর কারণ এই বছরের আবহাওয়ার হেরফের। শীত পড়লেও অনেক আগে ঠান্ডার আবহাওয়া কেটে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তাই বাগান গুলিতে আমের মুকুল আগেই চলে এসেছে।
আগে মুকুল আসায় মালদহের আমের কোন ক্ষতি নেই। বরং এই বছর আগেই পাকতে শুরু করবে আম। এতে অনেক সুবিধা হবে জেলার আমচাষী থেকে আম ব্যবসায়ীদের। কারণ এক সঙ্গে গোটা রাজ্যের আম পাকতে শুরু করলে মালদহের আম সকলে কিনবেন। এতে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন কৃষকেরা।
মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়া ঠিক থাকলে, প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে এই বছর মালদহে রেকর্ড আমের ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আমের ফলন কমে গিয়েছিল। মালদহে আমের ফলন হয়েছিল দুই লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এই বছর মালদহে মোট ৩১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। বাগান গুলিতে প্রায় ৮০ শতাংশ গাছে মুকুল ফুটেছে। বর্তমানে যে হারে মুকুল ফুটেছে তাতে রেকর্ড ফলনের আশা রয়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টি বা অন্য কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এই বছর মালদহে প্রায় তিন লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হতে পারে। আমের ফলন ভালো হলে দাম কম হবে। যদিও ফলন বেশি হলে লাভ হবে কৃষকদের।