মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর নবীন পল্লীর বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ হালদারের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া বিল্টু হালদারকে তার পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পাচ্ছিল না গতকাল সকাল ১১ টা থেকে। বাড়ির সামনে একটি কীর্তনের মহোৎসবে সকলে ব্যস্ত থাকার কারণে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলছিলো সে, এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকাল সন্ধ্যা অবশেষে রাত ১১ টায় শান্তিপুর থানায় মৌখিকভাবে বিষয়টি জানায় পরিবার এবং এলাকাবাসী। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু পরিজন সকলকেই ফোন করে খোঁজখবর নিলেও মেলেনি হদিস।অন্যদিকে বিকালের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিল্টুকে ঘরে ফেরাতে প্রচেষ্টা চালায় শান্তিপুরের বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষজন।
গোটা ঘটনায় দুশ্চিন্তায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এমনই সময় হঠাৎ খবর পাওয়া যায়, পড়ার সামনে বাজারে অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থায় হেটে আসছে সে। পাড়ার ছেলেরা তাকে ঘরে দিয়ে আসে। তবে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছালেও, তার বাড়িতে ওই টোটো চালক কেন আসলেন না তা নিয়েই জল্পনা।
ওই কিশোর জানায় , তার কিছুই মনে নেই। প্রচন্ড ঘুম পেয়েছিলো ওই মাঠে থাকতেই, তবে দুজন ধরে তাকে টোটো তে তোলে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামার সময়।
এরপর শান্তিপুর স্টেশনের কাছাকাছি কোন একটি অন্ধকার জায়গায় সে পড়েছিলো, এক টোটো ওয়ালা, চোখে মুখে জল দিয়ে দেয় এবং কিছু খাবার খাওয়াই, তার কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা জেনে বাজারে ছেড়ে দেয়। নিয়ে যাওয়া এবং ফেরত দিয়ে যাওয়া দুই টোটো ওয়ালা এক ব্যক্তি নয়। অত্যন্ত ভয় পেয়ে , এবং মনে না পড়ার কারণে এর বাইরে কিছু বলতে পারেনা ওই কিশোর।
দীর্ঘ ১২ ঘন্টা বাদে , ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় খুশি সকলে। শান্তিপুর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেই জানা গেছে।