মলয় দে নদীয়া :- বয়স ১০৮ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণেই মাসখানেক বিছানায় ভুগে শেষপর্যন্ত মৃত্যু। নদীয়ার শান্তিপুর শহরের সূত্রাগর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের দালাল পাড়া লেন নোয়াখালী পাড়ার সুমিত্রা বালা বিশ্বাস অবশেষে ১০৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ। তার স্বামী মারা গিয়েছিলেন আজ থেকে ২৮ বছর আগে ।
স্বামীর মৃত্যুর পরেও এতগুলো বছর কেটেছে সাত ছেলে দুই মেয়ের ঘরের নাতি পুতি দের সাথে । নাতি নাতনি মিলিয়ে সংখ্যাটি প্রায় ৫০ । সূত্রাগড় থেকে মৃতদেহ কাঁধে করে তার ছেলে ও নাতিরা প্রায় চার কিলোমিটার পথ হেঁটে শান্তিপুর শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে যান। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে তাসা ব্যঞ্জন এবং কীর্তনের দলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে থাকে মৃতদেহের যাত্রা। সম্পূর্ণ আনন্দের মেজাজে মৃতদেহ সৎকারের পথে রওনা দেয়।
শবযাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ২০০ জন, যার মধ্যে অর্ধেক প্রতিবেশী মহিলারা। বৃদ্ধার এক নাতি বলেন,’ আমাদের ঠাকুমাকে স্বর্গযাত্রা করাতেই এ ব্যবস্থা। কারণ তিনি সৌভাগ্যবতী। আর আমরাও ভাগ্যবান তাকে কাঁধে নিয়ে শেষ যাত্রা করতে পারছি।
পুত্ররা জানান,নাতি নাতনিরাই বায়না ধরেছে,তাদের দিদিমা ঠাকুমাকে তারা বাজনা সহযোগে শ্মশানের পথে নিয়ে যাবে। তাদের ইচ্ছামতোই বাজনা এবং কীর্তনের সহযোগী কাঁধে করে আমাদের মায়ের মৃতদেহ পায়ে হেঁটে আমরা শ্মশানের দিকে নিয়ে যাই।’,’ কাঁধে করে আমাদের মায়ের মৃতদেহ আমরা সৎকার করতে নিয়ে যাচ্ছি। আসলে মায়ের নাতি নাতিরা বায়না ধরেছিল, তাদের ইচ্ছাকেই মান্যতা দিয়েছি আমরা।
।’ এর আগে অবশ্য ওই এলাকায় এইরকম ভাবে আনন্দ সহযোগে নিজেদের সৎকার করতে দেখা যায়নি। সকলেই মাকে খুব ভালোবাসতো তাই, সমগ্র এলাকা র স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ শ্মশান যাত্রায়। তবে বোনেদের ইচ্ছা কাঠে র আগুনে দাহ করার, শান্তিপুর মহা শ্মসনে বর্তমানে যদি সে ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এ আশাও পূর্ণ হবে।