নদীয়ার কৃষ্ণনগরে সাহিত্যিক -কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মভিঁটে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করল কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সদস্যরা

Social

সোশ্যাল বার্তা : ভারতবর্ষের গর্ব বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় । দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল, নক্ষত্রসম একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি রবীন্দ্র সমসাময়িক হলেও তিনি ছিলেন রবীন্দ্র প্রভাবমুক্ত। তিনি নিজস্ব একটা জগৎ গড়ে তুলেছিলেন। বাংলা সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর অবদান অনস্বীকার্য ।

তিনি অজস্র নাটক, উপন্যাস লিখেছেন পাশাপাশি তাঁর দেশাত্মবোধক গানগুলি আমরা স্মরণ করি সর্বদা যা আমাদের দেশপ্রেমকে জাগরিত করে। তাঁর বিখ্যাত গান “ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা…. ” তৎকালীন শ্রেষ্ঠ গানগুলির মধ্যে একটি। পাশাপাশি “ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে..” গানটি আমরা আজও গুনগুন করে নিজেদের অজান্তে গেয়ে ওঠি যা সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গানের মধ্যে অন্যতম।নদীয়ার কৃষ্ণনগর এর এই কৃতিসন্তান সাহিত্যের মাধ্যমে কৃষ্ণনগরকে গোটা ভারতবর্ষের দরবারে তুলে ধরেছেন।

কৃষ্ণনগরের স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোডে রয়েছে বিশিষ্ট এই ব্যক্তির পরিবারের বাড়ির প্রবেশ তোরণ । অধিকাংশ সময়ই জায়গাটি নোংরা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে থাকে।

৩০শে অক্টোবর রবিবার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সদস্যরা জায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দেয়। অবৈতনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কচিকাঁচারাও শামিল হয় এই জায়গাটির পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে।

চতুর্থ শ্রেণিতে পাঠরতা সুমনা ভৌমিক জানায় ‘সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। জায়গাটি পরিস্কার হয়ে গেল খুব ভালো লাগছে।

কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান “কৃষ্ণনগর ঐকতান এর অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর পাশাপাশি কৃষ্ণনগর শহরের মনীষীদের মূর্তি সারাবছর ধরেই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। কবির জন্মভিঁটেয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে আমাদের এই সংগঠন”।

Leave a Reply