কাউন্ট ডাউন শুরু ! ভোলানাথের সর্ববৃহৎ মূর্তি বসলো বৈষ্ণবপাড়ায়

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বৈষ্ণব পাড়া। এলাকার প্রবীনদের কাছ থেকে জানা যায় শহরের রাজপথের পাশে থানা সংলগ্ন এই বারোয়ারী স্বাধীনতার সমসাময়িক কালে সরস্বতী পুজো হতো।

স্বাধীনতার চার বছর বাদে অর্থাৎ ১৯৫১ সালে জগৎ বিখ্যাত শান্তিপুরের রাস উৎসবে অংশ নেন তারা। সে সময় আজ পর্যন্ত দুটি কালীমাতা প্রস্তুত করা হয় একটি কালী পুজোতে অন্যটি রাসে। তবে সে সময়ের বারোয়ারিঘরের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মিত শান্তিপুরের মধ্যে অসাধারণ শোভা বর্ধনকারী বেশ কয়েকটি মন্দিরের মধ্যে অন্যতম যা এগারো বছর আগে নির্মিত হয়েছে। একদিকে শান্তিপুর রাসে মূর্তি কালীমায়ের সর্ব শরীর অলংকারে ভূষিত শোভা দেখতে অধীর আগ্রহে থাকেন রাসযাত্রীরা। অসাধারণ এই মন্দিরে আলোকসজ্জার পর রাতে অনেকেই মণ্ডপ সজ্জা ভেবে ভুল করেন।

তবে আজ মন্দিরের অপর এক শোভা বর্ধনকারী, কালী মন্দিরের উপযুক্ত হিসাবে দেবাধিদেব মহাদেবের মূর্তি বসলো একেবারে চূড়ায়। মূর্তি নির্মাণে বিখ্যাত শিল্পী এত কানাই দেউড়ি র ছেলে প্রসেনজিত দেউড়ি বিগত তিন মাস ধরে ১২ ফুট লম্বা এবং ১৪ ফুট চওড়া। যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তর জন্য সমগ্র শান্তিপুরবাসী বৈষ্ণব পাড়া বারোয়ারী কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে সেই মূর্তি কাঁধে করে বারোয়ারির সদস্যরা নিয়ে যান রাস্তা দিয়ে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের সাধারণ জনগণ। বারোয়ারির সদস্য তথা স্থানীয় কাউন্সিলর প্রতিনিধি বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য উৎসাহীদের সাথে ব্যস্ত ছিলেন সকাল থেকেই। আজকের এই উচ্ছ্বাস রাসের উন্মাদনা, আর এক ধাপ বাড়িয়ে দিলো বলেই মনে করছেন উৎসব প্রেমী সাধারণ নাগরিকরা। শিল্পী প্রসেনজিৎ বাবু বলেন, মূর্তি তিনি বানিয়েছেন, ক্লাস ফাইবারে নির্মিত হলেও মার্বেল টাচ দেওয়ার জন্য রং এবং উজ্জ্বলতা বহুদিন অখুন্ন থাকবে।

বারোয়ারি পক্ষ থেকে জানানো হয়, লোহার অ্যাঙ্গেল করে তা মন্দিরের চূড়ায় আটকানো হয়েছে যার ফলে ঝড় ঝাপটা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হবে না। ক্রেন ভাড়া করে তোলা হয়, এই সুবিশাল মূর্তিকে।

Leave a Reply