মলয় দে নদীয়া:- আবারো সততার নজির দেখা গেলো নদীয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজারে। শনিবার রাত নটা নাগাদ, শ্যামবাজার শিবাই সাহার ব্যাটারির দোকানে , বাথান গাছির সবজি বিক্রেতা মানিক ঘোষ তার বাবাকে নিয়ে ব্যাটারি কিনতে আসেন। নগদ ২৫ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা দোকানে পরিশোধ করার পর বাকি ৭০০০ টাকা রাখেন লুঙ্গির কোচরে। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি!
রাস্তার পাশের ড্রেনের মধ্যে সেই প্লাস্টিক মোড়ানো টাকার বান্ডিল বেখেয়ালে পড়ে যায় ড্রেনের পাশে। এরপরে তিনি বাড়িতে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় হারিয়ে যাওয়া টাকার সম্পর্কে বলেন শিবাই শাহা কে। রাস্তায় কোথাও পড়েছে কিনা সে কারণে তিনি ওই দোকান পরিত্যাগ করে আবারো খুঁজতে খুঁজতে বাড়ির দিকে রওনা দেন। ইতিমধ্যে শান্তিপুর এক নম্বর কলোনির মুদি দোকানদার ভোলানাথ সাহা তার বন্ধু টোটো চালক মিঠুন বাইনকে নিয়ে ব্যাটারি কিনতে আসেন ওই দোকানে। ভোলানাথ বাবু প্রথমেই দোকানে ঢুকতে গিয়ে ড্রেনের পাশে প্লাস্টিক মোড়ানো টাকার বান্ডিল পান, মিঠুন বাইন এবং তিনি তার সাথে টাকার কথা না বলে বিচক্ষণতার সাথে কিছু হারিয়েছে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। দোকানদার শিবাই সাহা টাকার পরিমাণ জানতেন না তবে হারিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাদের। নথিভুক্ত করনের খাতা থেকে, বাথানগাছির মানিক ঘোষ কে ফোন করেন। তিনি এসে ১০ টি ৫০০ টাকার নোট, প্লাস্টিককে মোড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। উপস্থিত সকলেই বুঝতে পারেন উপযুক্ত ব্যক্তি তিনিই।
এ প্রসঙ্গে ভোলানাথ সাহা এবং মিঠুন বাইন বলেন, টাকার কথা প্রথমে বললে সকলেই হয়তো বলতো তার, তাই হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। উপযুক্ত লোকের হাতে দিতে পেরে গর্ববোধ করছি, আমাদের টাকা হারিয়ে গেলেও যেমন কষ্ট হতো, উনার কষ্টার্জিত অর্থ হারানোর পর ততটাই বিভ্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। অন্যদিকে মানিক ঘোষ দুজনকেই সাধুবাদ জানান।