মলয় দে নদীয়া:-আজ বিশ্বকর্মা পুজো।নদীয়ার শান্তিপুর থেকে রওনা দিলেন শান্তিপুরের ভূমিপুত্র ২০১৯ সালে দেশীয় বিলুপ্ত ধানের জৈব চাষের ওপর রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক শৈলেন চন্ডী। আগামী ১৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ শে সেপ্টেম্বর নিউ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র যারা চমৎকার কৃষিতে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার বা অন্যান্য সরকারি পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন তারাই একমাত্র অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই প্রদর্শনীতে।
পৃথিবীর ১৪৪ টা দেশ অংশগ্রহণ করছেন এই প্রদর্শনীতে। তবে পশ্চিমবঙ্গের থেকে শৈলেন বাবুর মতন বাকি আরো পাঁচ জনের দিল্লিতে পৌঁছানোর যাবতীয় তত্ত্বাবধানে রয়েছে নদীয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন যাবত দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশীয় বীজ সংরক্ষণের কাজ করে আসছেন শৈলেন বাবু। কৃষাণ স্বরাজ সমিতি নামে কৃষকদের নিয়ে তৈরি একটি সংগঠনের মাধ্যমে রাসায়নিক সার, কেমিকেল কীটনাশক বর্জনে অদম্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে চাষের ফসল দানাশস্য আনাজ ফলমূল মসলা ঘি এবং অন্যান্য নানাবিধ খাদ্যদ্রব্য প্যাকেটজাত করে বিষমুক্ত খাদ্য বাজারে তিন শতাধিক ক্রেতাকে নিয়মিত সাপ্তাহিক বাজারে অভ্যস্ত করিয়ে ফেলেছেন তিনি। এবারের এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ডাকে শৈলেন বাবু উচ্ছ্বাসিত। তিনি বিভিন্ন প্রকারের লঙ্কা, বেগুন ঝিঙে, ঢেঁড়স, চাল কুমড়ো বেগুন,মাঠকুমড়ো, জিরে, ধনিয়া, কালো জিরে, পাতা সহ নানা ধরনের মসলার বীজ, আম আদা এবং কাঁচা হলুদের গাছ নিয়ে আজ রওনা দিলেন প্রদর্শনীতে এ বাংলা তো বটেই নদীয়ার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য। বেতের কূলো কাঠার ওপর লালশাক বেগুন লংকা এবং দেশীয় বিভিন্ন আনাজ দিয়ে মডেল তৈরি করেছেন তিনি।
নিউজ সোশ্যাল বার্তার পক্ষ থেকে তার শুভযাত্রা এবং শ্রেষ্ঠ প্রদর্শনীর শুভ কামনা করি। ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য গড়ে উঠুক বিষমুক্ত খাদ্য খাবারের জগৎ অন্নদাতারা পাক যোগ্য সম্মান।