মলয় দে নদীয়া:- বিশ্বকর্মা পূজার দিনেও নদীয়ার শান্তিপুর মতিগঞ্জ মোড়ে অবস্থিত বিএসএনএল ভবনের জোড়ার জন্য অবস্থা পাঁচিল বেয়ে উঠেছে লতানো গুল্ম, সাইনবোর্ড ঢেকেছে তাতেই। চারিদিকে ধুলো নোংরা আর আবর্জনা স্তুপ। অথচ ১৯৯৩ সালে যখন এস টি ডি চালু হলো তখন ঝা চকচকে এই অফিস ভাড়া নিয়ে উদ্বোধন হয়। দিগনগর মতিগঞ্জ গোবিন্দপুর বাগআঁচড়ার মত বেশ কয়েকটি ইউনিটও খোলা হয় কাজের চাপে। শান্তিপুর কলেজ সন্নিহিত খড়জলা পাড়ায় একটি আড়াই বিঘের সম্পত্তি কেনা হয় স্থায়ী অফিস বানানোর জন্য।
মাঝে মাত্র কয়েকটা বছর, সে সময় শুধুমাত্র এই অফিসে ১৮ জন পার্মানেন্ট সরকারি কর্মচারী কাজ করতেন, ক্যাজুয়াল তো ছিলই। আর বর্তমানে? চারটি ইউনিট দেখাশোনা করেন মাত্র ১২ জন ক্যাজুয়াল কর্মী।
আজকের মতো বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে, বড় বড় উঁচু পোস্টের সরকারি আধিকারিকরা আসতেন পুজো দেখতে। গ্রাহক থেকে শুরু করে পথ চলতি সাধারণ মানুষ কে সাধের সাথে রীতিমতো মধ্যাহ্নভোজ করানো হতো। আজ সবই অতীত এমনই নানা স্মৃতি কথা শোনালেন ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর যাবৎ কাল ধরে স্থায়ী চাকরি করা কর্মী কানাই লাল সরকার। তিনি বলেন বিশ্বকর্মা ঠাকুরের কাছে একটাই প্রার্থনা কেন্দ্রীয় সরকারের মতিগতি পরিবর্তিত করুন তিনি। সু বুদ্ধি দিয়ে বিএসএনএলের প্রতি মনোযোগী হয়ে ফিরুক সাবেকী জৌলুশ। বর্তমানে কাজ করা অপর এক ক্যাজুয়াল কর্মী বিএসএনএল ক্যাজুয়াল মজদুর ইউনিয়নের সদস্য প্রশান্ত পাল জানান, বিএসএনএল এর ফাইভ-জি লাইসেন্স পেয়ে প্রাইভেট সংস্থাগুলি রমরমা ব্যবসা করে ফুলেঁপে উঠছে, আর বিএসএনএল নিজে এখনো ফোরজি চালু করতে পারল না। এসবই উদ্দেশ্যপ্রণলিতভাবে বিএসএনএলকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা। কারণ শেয়ার বিক্রি করতে না পেরে, স্থায়ী কর্মচারীদের ২০১৭ সালের পে কমিশন, পেনশন মেডিকেল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যাতে দিতে না হয় , ক্যাজুয়াল কর্মীদের যাতে স্থায়ী না করতে হয় তার জন্যই পরিকল্পনা মাফিক গাফিলতি।
তবে ভবনের জৌলুস হারালেও, পুজোয় আন্তরিকতার ভাটা পড়েনি এতটুকু। সংখ্যা কম হলেও নিজেরাই একদিন মিলিত হন পরিবার নিয়ে, প্রার্থনা করেন দিন বদলের।