মলয় দে, নদীয়া :-নদীয়ার রানাঘাট হিজুলি ঢাকীপাড়া বলেই পরিচিত একটি গ্রাম। যেখানে যাদব দাস, মৃগেণ দাস, তাপস বিশুইপালের মতো ৩০ -৪০ টি পরিবার প্রধান সারাবছর বাঁশের ঝুড়ি, ঝাঁকা, মাছধরা বৃত্তি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও পূর্বপুরুষ থেকে ঢাক বাজানো পেশার সুনামে তারা পরিচিত জেলার বাইরেও। প্রতি বছরই অন্তত দু’ মাস আগে তাদের কিছু অগ্রিম অর্থ জমা করে বায়না করা হতো। এবছর জেলার বাইরে বা কলকাতা থেকে অনেকেরই ডাক পড়েনি! অথচ পুজোর দিনগুলি নতুন বস্ত্র দিয়ে তাদের সংবর্ধনা এবং আতিথিয়তা মনে পড়ে কষ্ট পেয়েছেন দীর্ঘ লকডাউন এরমধ্যে কর্মহীন অবস্থায়। ওই গ্রামের বেশকিছু ঢাকি নিয়মিত প্রতি বছর একই বাড়িতে দীর্ঘদিন ঢাকি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন ! পুজোও হচ্ছে, অথচ ডাক পাচ্ছেন না ঢাকীরা, কেউ যদিও ডাক পেয়েও থাকেন সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা ভাড়ায় পৌঁছানোর একমাত্র গণমাধ্যম ট্রেন বন্ধ। ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ভাড়া করা মানে ” ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি “।