গতকাল অষ্টমী তিথির শেষ লগ্নে মধ্যরাতে ঘরে ঘরে পালিত হলো জন্মাষ্টমী

Social

মলয় দে নদীয়া :-জন্মাষ্টমী উপলক্ষে উৎসবের চেহারা বাংলার ঘরে ঘরে।

শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করে গোটা দেশ। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ও রোহিণী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের। সেই থেকেই জন্মাষ্টমী পালন করার প্রথা চলে এসেছে।এ বছর ৩০ অগাস্ট সেই উৎসব পালিত হবে।
সেই উপলক্ষ্যে সাজসাজ রব বাংলার ঘরে ঘরে।।

অষ্টমীর দিনে জন্ম নেওয়াশ্রী কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়, তবে একেবারে ঘরের ছোট্ট শিশু হিসাবে গোপালকে যত্ন-আত্তি করেন বাড়ির গৃহিণীরা।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের যা পছন্দ সেই সবই জন্মদিনের দিন তার সামনে সাজিয়ে হাজির করে ভক্তকূল। আমরা শান্তিপুরে খোঁজ নিতে বেরিয়েছিলাম এই উৎসবের। মৃৎশিল্পীর ঘরের মাটির তৈরি গোপাল, ধাতব গোপাল মূর্তির পালিশ ঘর, সিংহাসন বাসিক মুকুট গোপালের পোশাক এবং বিভিন্ন অলংকার বিক্রেতাদের দোকানে উৎসবের চেহারা নিয়েছিল গত দুদিন আগে থেকেই।
অনেক ভাই হারা বোনেরা গৃহে পুজ‍্যদেবতা “গোপাল”কেই পরিবারের সন্তান হিসাবে ভাই মেনে থাকেন।জন্মদিন উপলক্ষে ভাইয়ের নতুন হালফ্যাশনের জামা কাপড়, অলংকার এবং প্রিয় খাদ্য দ্রব্য কেনার হিড়িক লাগে।
পোশাক এবং ঠাকুরের অন্যান্য উপকরণ বিক্রেতারা জানান কাঁসা পিতলের দাম খানিকটা বাড়লেও আজও সমান চাহিদা গোপালের।
অনেক পরিবারের সকলে একসাথে কোথাও বেড়াতে গেলে হয় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে রেখে না হলে সাথে করে নিয়ে যেতে হয় পূজ্য গোপালকে।
ঠাকুরের সাজসজ্জা বিক্রেতারা অন্যান্য ঠাকুরের সাজ পোশাকের থেকে গোপাল ঠাকুরের হাল ফ্যাশনের সাজ পোশাক বেশি বিক্রি হয়।
ধাতব গোপাল মূর্তির পালিশ ঘর থেকে জানা যায় ঠাকুরের বিভিন্ন উপকরণ বা মূর্তি পালিশ করতে গেলে উপবাস থেকে সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে তবেই, কাজে হাত দিতে হয।
মৃৎশিল্পীরা বলেন রাধাকৃষ্ণের মূর্তি বিক্রি হলেও গোপালের চাহিদাই বেশি! তবে বড় ঠাকুর এর পরিবর্তে অনেকেই ছোট ঠাকুরের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন ইদানিং।
তবে ঘরের গোপালের কোনো বায়না নেই! তবে ভীষণ পছন্দের তাল । তাই শুভ জন্মদিনে তাকে আনন্দ দিতে, তালের বড়া, তাল ক্ষীর, তালের রুটি, তালের পায়েস নানা উপকরণ তৈরিতে নাজেহাল বাড়ির গৃহিণীরা।
এই উপলক্ষে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের গোপাল সাজাও লক্ষ্য করা যায়। এক কথায় ছোটদের উৎসব। নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া গ্রামে ঈশ্বর রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি নবজাগরণ অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিশুরা প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য বার্তা দিলো এবার, ঘরে ঘরে পৌঁছে দিলো চারা গাছ।

Leave a Reply