কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস ! অভিযোগ উঠল শিক্ষক এর বিরুদ্ধে

Social

দেবু সিংহ,মালদা: কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস, তারপরে প্রাননাশের হুমকি অভিযোগ উঠলো এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে নিজের মর্যাদার অধিকার পাওয়ার দাবিতে লড়াই চালিয়ে কোনো ফল না মেলায় অবশেষে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালো এমএ পাঠরতা ওই ছাত্রী। এই ঘটনার ব্যাপারে মালদা শহরের নজরুল স্মরণী এলাকার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় এবং পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে পুলিশ বলে অভিযোগ।

জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রী হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । আর এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্ত শিক্ষকের প্ররোচনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর পরিবার। অসুস্থ ছাত্রী মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এবারে সুবিচারের আশায় আদালতের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই ছাত্রীর নাম বীণা পান্ডে (২২)। তাঁর বাড়ি মানিকচক থানার উজিরটোলা এলাকায়। মালদা শহরের একটি কলেজে পড়ালেখার সুবাদেই পরিচয় হয় শহরের নজরুল সরণি এলাকার ঋতুব্রত গোস্বামীর সঙ্গে। গত তিন বছর ধরে তাদের পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা রয়েছে বলে ওই ছাত্রীর দাবি । তাঁর সঙ্গে একাধিকবার ওই শিক্ষক সহবাস করেছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের প্রত্যাখ্যান করে। ওই ছাত্রী স্ত্রীর মর্যাদা দাবি জানালে তাকে ওই শিক্ষকের পরিবার প্রাণ নাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বীণা পান্ডে জানিয়েছেন, মালদা শহরে কলেজে পড়ালেখার সুবাদেই এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঋতুব্রত গোস্বামীর সঙ্গে পরিচয় হয়। সে আমাকে বিয়ের করবে বলে নানান প্রতিশ্রুতি দেয়। একাধিকবার সহবাস করে। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে। বারবার অনুরোধ দাবি জানিয়েও কোন লাভ হয় নি। পরবর্তীতে চলতি বছর মার্চ মাসে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি । কিন্তু পুলিশ কোনরকম ব্যবস্থা নেয় নি। বরঞ্চ আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নিজের দাবি নিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাকে কয়েকজন সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরই আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করি।
অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর বক্তব্য, পুরো বিষয়টি নিয়ে এখন মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবেছি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখে জানাবো। আমাকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শিক্ষকের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সেই দাবিও করেছি।
যদিও এপ্রসঙ্গে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষক ঋতুব্রত গোস্বামী এবং তার পরিবার কোনভাবেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সামনে কোন কিছু মন্তব্য করেন নি। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মালদা আদালতে মামলার রুজু হয়েছে।

Leave a Reply