মলয় দে , নদীয়া :- নদীয়ার ধুবুলিয়ার ধুবুলিয়া বাস স্টপ থেকে একটি বাস প্যাসেঞ্জার তুলতে গেলে বাসস্ট্যান্ডে অটো এবং টোটো বেআইনিভাবে প্যাসেঞ্জার ছিনিয়ে তাদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা এরই প্রতিবাদ করাই এক বাস কর্মীকে বেধড়ক মাারে টোটো এবং অটো চালকরা। ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় যদিও ওই ব্যক্তি কিছুটা সুস্থ বোধ করায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল।
আক্রান্ত বাসকর্মীর বাড়ি নদীয়ার পাগলা চণ্ডী এলাকায়। নাম বাবন প্রামানিক বয়স ৪৩ । তবে এই ঘটনার পর ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। যদিও প্রথম দিকে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে ধুবুলিয়া থানা বলে জানায় বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। পরবর্তীকালে বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত আকারে অভিযোগ করা হয় পাশাপাশি তাদের দাবি দোষীদের অবলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং বেআইনি অটো এবং টোটো যে সমস্ত যানবাহন চলছে তাদের চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর যেভাবে তারা দাঁড়িয়ে থাকে তাতে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।
।এই দাবি নিয়ে তারা প্রথমে কৃষ্ণনগর মেইন বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বা তারপর সেখান থেকে ডিএম অফিস সে একটি রেলি বিক্ষোভ করে একটি ডেপুটেশন জমা দেন পাশাপাশি এইরকম একাধিক দাবি নিয়ে নদীয়া জেলা এসপি অফিস ডিএম অফিস এসডিও অফিস জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানা গুলিতে লিখিত অভিযোগ করেন তারা পাশাপাশি তাদের দাবি যদি তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং তাদের দাবি না পূরণ করা হয় তাহলে তারা নদীয়া জেলা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছেন বলে হুঁশিয়ারি দেন
কিন্তু হঠাৎ করে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহা ফাঁপরে পড়েন নিত্যযাত্রী তথা সাধারণ মানুষ। অনেকেই কৃষ্ণনগর থেকে হেঁটে ধুবুলিয়ার দিকে যেতে দেখা যায়। ধুবুলিয়া সুভাষ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ধুবুলিয়া থেকে মায়াকোল বিকেলের দিকে হেঁটে হেঁটে ফিরতে দেখা যায়।