শান্তিপুর তাঁতবস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে জাতীয় তাঁত দিবস উদযাপন

Social

মলয় দে নদীয়া :-বাংলা ছিল সমগ্র “পৃথিবীর তাঁতঘর”। শান্তিপুরী ঘরানা ছিল তাঁর অন্যতম। সেই পরম্পরা কে বজায় রেখে আজ ৭ই আগস্ট, ২০২২”হস্তচালিত তাঁত দিবস”উপলক্ষ্যে ,রবিবার, সকাল ৯টায় সূত্রাগর ঘোষ মার্কেটের দ্বিতলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শান্তিপুর তাঁতবস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি ।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর টেক্সটাইল কমিটির চেয়ারম্যান সৌমেন মাফদার, তাঁত গবেষক হরিপদ বসাক, বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পৌরসভার পুরো প্রধান সুব্রত ঘোষ, উপ পুরো প্রধান কৌশিক প্রামানিক, টানা পোড়েন সংস্থার সম্পাদক নিলয় বসাক, সহ শান্তিপুর তাঁত বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সভাপতি সহ বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ।

টাঙ্গাইল বিশেষজ্ঞ তাঁত শিল্পী গৌরাঙ্গ বসাক এবং বাসন্তী রানী বসাকদের মতো বেশ কিছু গুনী তাঁত শিল্পী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শান্তিপুর তাঁতবস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তারক নাথ দাস যুগ্ম সম্পাদ সুবীর ঘোষ ও অরুণ ঘোষ, শান্তিপুরের প্রধান চারটি হাট মালিকগণ, বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন।
তারা স্বীকারোক্তি করেন প্রতিটি হাটেই আলাদা একটি হ্যান্ডলুম জোন তৈরি হবে অতি শীঘ্র।
এই আলোচনায় একদিকে যেমন উঠে আসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা সুরাটের শাড়ির আমদানি, নিত্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রের মতন ক্রমবর্ধমান সুতোর মূল্য বৃদ্ধি, অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপনের চটক, সরকারিভাবে বিপনের ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়, এ ধরনের নানা সমস্যার কথা। অন্যদিকে শান্তিপুরের তাঁত শাড়িতে জিআই রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন মিলেছে, বিভিন্ন সরকারি সম্মান মেলে প্রতিবছরেরই, স্কুল ইউনিফর্ম দিশা দেখাচ্ছে নতুন ভাবে তাঁতিদের।
উপ পৌরপতি কৌশিক প্রামাণিক বলেন, নদীয়ার বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হলেও শান্তিপুর ব্রাত্য রয়ে গেছে দীর্ঘদিন।

পৌরপতি সুব্রত ঘোষ জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকেও হস্ত চালিত তাঁত শিল্পীদের অগ্রাধিকার দেওয়া দীর্ঘদিন ধরে আগামীতেও যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকবে।
বিধায়ক বলেন তাঁত শাড়ির মান অবনতি ঘটানোর প্রতিবাদে নিজেদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে নিজেদেরই। তবে এ ধরনের অনুষ্ঠানে আজকের শ্রোতাদের আগামীতে বক্তার ভূমিকায় দেখতে চাই কারণ তারাই বেশি সমস্যাটা বুঝতে পারেনি
ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি তারক দাস কার্যত স্বীকার করে নেন তাঁতশিল্প লুপ্তপ্রায়, তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বে থাকা হ্যান্ডলুম ডিরেক্টর সৌমেন মাফদার, বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে অনেকটা বাধা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি, তবে আগামীতে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই রক্ষা হবে তাঁত শিল্প।

Leave a Reply