মলয় দে নদীয়া :- কথায় আছে চোরের সাত দিন, গৃহস্থর একদিন। তবে এক্ষেত্রে, গৃহস্থের হাতে বারবার ধরা পরেও আইনি সমস্যায় পার পেয়ে যেত চোরেদের দল। চুরি তবে একটু ভিন্ন ধরনের।
থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে প্রত্যেকের সচেতন মানুষেরই একটু দুর্বলতা থাকে। আর তাদের সহযোগিতার জন্য যখন কোনো বয়স্ক মহিলা সাহায্য চাইতে আসেন অতি কৃপণ মানুষের কাছ থেকেও সামান্য হলেও কিছু অর্থ পাওয়াই যায। বারুইপুরের নামে ভূয়ো সংস্থার নাম করে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নদীয়া জেলাতেও ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা কোনো কোনো সময় তারও অধিক টাকা তোলা হচ্ছে এমন খবর পাওয়ার পর থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কাজ করা কৃষ্ণনগরের বেশ কয়েকজন যুবক বেরিয়ে পড়েন প্রতারকদের ধরতে।
সম্প্রতি কয়েকদিন আগে তারা শান্তিপুরে এইরকমভাবেই একটি দোকান থেকে, হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই দুই মহিলাকে। শান্তিপুর থানা অবশ্য বেশ কয়েক ঘন্টা বাদে তাদের ছেড়ে দেন, যদিও ওই স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের দাবি অনুযায়ী থানার সাথে প্রতারকদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। তবে থানা সুত্রে জানা যায় নির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ পত্র না থাকলে, সব জেনে শুনেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।
তবে এই পরামর্শ এবারে আর ভুল করেননি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। গতকাল কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে এভাবেই অর্থ সহযোগিতা তুলছিলেন ওই দুই মহিলা, হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা, যেত ওই দুই মহিলা স্বীকারোক্তি করেন তারা, অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন ।
তবে এবার লিখিত ও বেশ কিছু কুপনের বিল বই সহ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। মাতৃসম ওই মহিলাদের প্রতি দয়া করুণা ভুলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।