মলয় দে, নদীয়া:-কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকে সরকারি কর্মচারী, তখন ট্রেনে বাসে একসাথে যাতায়াত, টেবিলের পাশাপাশি বসে কত কাজ! ঠিক যেন এক পরিবারের মতো। অথচ অবসর নেওয়ার পরে, শরীরের দুর্বলতা আসলেও মনে কখনোই না। তাই ৩৯ বছর ধরে এই সংস্থার ৩০০ সদস্য একদিন একসাথে গল্প গুজব, সমস্যার আলোচনা সমাধানের পথ বাছা নিজেদের মধ্যেই গান-কবিতা পরিবেশন সহ সম্মেলন। কোন রাজনৈতিক ভাবে নয়, তবে হ্যাঁ কেন্দ্রীয়সরকারি ও রাজ্য সরকারি একটা বৈষম্য আছে তবে তা পেশাগত। বছরে এই দিনটিতে একটি করে স্মরণিকায় গল্প , কবিতা বের করার জন্য মাস দুয়েক আগে থেকে চলে মানসিক প্রস্তুতি। আসলে এ বয়সে ব্যস্ততা বলতে কিছুই নেই, শুধুই অবসর–তাই অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এই কদিনের ব্যস্ততা নিজেদেরকে উদ্যমী হতে শেখায় এমনটাই জানালেন আগত বয়স্কা প্রতিনিধিগণ।
সভাপতি রাধাগোবিন্দ সেন জানান “বর্তমান রাজ্য সরকার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করে সর্বস্তরের পেনশনভোগীদের অনেক সুবিধা দিয়েছেন, তাই খুব বেশি সমস্যার কারণে সংগঠন অভিমুখী হতে দেখা যায় না অবসরপ্রাপ্তদের। তবে হ্যাঁ একটা পরিবারের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে, তা অবশ্যই মঙ্গল কারক হয়।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান “ত্রৈমাসিক পেনশন সংবাদ প্রকাশ, পয়লা অক্টোবর প্রবীণ নাগরিক দিবস পালন, সহ না না কাজের জন্য ঠাকুর পাড়া, শান্তিপুরে আমাদের অফিস নিয়মিত খোলা থাকে, যেখানে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতি মাসে একটি করে সাধারণ মিটিং ডাকা হয়। প্রত্যেকের বয়স জনিত কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক স্বপ্নই অসফল থেকে যায়! তবে আগামীতে কিছু উদ্যোগী স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের স্বাগত জানানো হবে, আমাদের সব ধরনের কাজে সহযোগিতার জন্য।”