নদীয়ার এই দোকানে আজও সিঙ্গারা এক টাকা ঝালমুড়ি বিকোয় এক টাকায়

Social

মলয় দে নদীয়া :-মুড়িতে জিএসটি লাগু হোক বা ভোজ্য তেলের কেজি ২০০ পার হোক, নদীয়ার মুরুটিয়া থানার অন্তর্গত দ্বারের মাঠ বিদ্যালয়ের সামনের সঞ্জয় চক্রবর্তী অথবা ঘোষ দম্পতির থোরাই কেয়ার! দেদার বিকোচ্ছেন এক টাকায় সিঙ্গারা এবং এক টাকায় ঝালমুড়ি। তবে হ্যাঁ, দীর্ঘদিন করোনা পরিস্থিতির কারণে সরস্বতীর মন্দির বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে, লক্ষ্মীরূপে ছাত্রছাত্রীদের অভাবে শুনশান ছিলো এলাকা। বিদ্যালয় খুলতেই আবারো, চারিপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে স্কুলের সময় বিভিন্ন ধরনের মানুষ ভীড়করে উপস্থিত হন সিঙ্গারা এবং ঝালমুড়ি কিনতে।

সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান ২০০৩ সালে স্কুলের সামনে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রির দোকানে সিঙ্গারা ভাজা শুরু করেন। সেই সময়, রান্নার গ্যাস ভোজ্য তেল ,আলু র বাজারদর অনুযায়ী সিঙ্গারা এক টাকায় বিক্রি কিছুটা লাভজনক থাকলেও, বর্তমানে ক্রমবর্ধমান অগ্নিমূল্য বাজারদরে লাভ নেই বললেই চলে, স্কুল টাইমে ৮০০ পিসেরও বেশি সিঙ্গারা বিক্রি হওয়ার কারনে ঘাটতি হয় না খুব একটা।

আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য বিক্রি করে যা মুনাফা আসে তা দিয়ে তাদের পরিবার চলে যায়।
পাশের রবি ঘোষ তার স্ত্রী কে নিয়ে চালান অপর একটি দোকান, তবে জনপ্রিয় হলো ঝাল মুড়ি যার মূল্য মাত্র এক টাকা। তিনি বলেন পাশের দোকান অনেক পুরনো হলেও আমাদের মধ্যে মিল-মিশ যথেষ্ট। ২০১০ সালে দোকান করার সময়, তিনি আমাকে সহযোগিতা করেছেন অনেকটাই, তার প্রতিদান হিসেবে, সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় ঝালমুড়ি বেছে নিয়েছিলাম। বর্তমান অগ্নি মূল্য বাজারে এক টাকায়, আদা, পিয়াজ, লঙ্কা, চানাচুর, ছোলা, তেল ঠোঙ্গা ভর্তি মুড়ি মাখিয়ে মাত্র এক টাকায় বিক্রি পরিষেবা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে অন্যান্য জিনিসপত্র থেকে যেটুকু আয় উপায় হয় তা দিয়েই পরিবারের খরচ চলে যায় কোনমতে।

Leave a Reply