মলয় দে নদীয়া :-কলকাতা বা শহরতলীতে মোবাইলের মাধ্যমে ওলা, উবের বুকিং তো ছিলই, এখন থেকে এক ফোনেই আপনার পাড়ার গলির সামনেও এসে দাঁড়াবে অতি পরিচিত টোটো। ভাড়া নিয়ে বাক বিতন্ডা, ঘন্টার পর ঘন্টা প্রতীক্ষায় থাকা, একজন যেতে চাইলে বাকি যাত্রীদের আসার প্রতীক্ষায় থাকার দিন শেষ হলো । সাথে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েকটি জেলায় ইতস্ততভাবে এই পরিষেবা চালু রয়েছে ইতিমধ্যেই। নদিয়া জেলার তাহেরপুর, কল্যাণী বেশ কিছু জায়গায় আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হলেও আগামী ২৯ শে জুলাই শান্তিপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পাকাপাকি ভাবে চালু হতে চলেছে অনলাইন ই রিক্সা বুকিং।
তবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহারকারী হতে হবে টোটো চালককে, এরকম প্রায় ৫০০ জনকে নিয়ে দফায় দফায় বেশ কয়েকটি মিটিং সেরে ফেলেছেন আই এন টি টি ইউ সি জেলা সদস্য সনৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ব্যাপক উচ্ছাস উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে টোটো চালকদের মধ্যে। শান্তিপুরে প্রায় দুই হাজার টোটো চালক এর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছেন।রিজার্ভ না করলে যাত্রী সাধারনকে বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না, সাধারণভাবে যে ভাড়া দিয়ে থাকে অভ্যস্ত সেই একই ভাড়া থাকছে ।শান্তিপুর যাত্রীবাহী টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক টোটো চালক গৌতম দাস বলেন, পড়াশোনা না জেনেও অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করতে জানে তাই কোন অসুবিধা নেই চালক বা যাত্রীদের পক্ষ থেকে। আপাতত যারা মোবাইলের ব্যবস্থা করতে পারেননি তাদের জন্য বহাল থাকছে পূর্বের স্ট্যান্ডগুলি।
ই রিক্সা ডটকম নদিয়া জেলার, ডিস্ট্রিবিউটর অনুপম তরফদার বলেন, যাত্রীদের এবং চালকদের জন্য পৃথক দু ধরনের অ্যাপ আছে। যাত্রীরা চাইলে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারেন আবার নগতও দিতে পারেন। একদিকে যেমন যাত্রী সম্পর্কে চালকরা নিশ্চিত হলেন, অন্যদিকে ইতস্তত ভাবে ঘুরে বেড়ানো টোটো ঝঞ্ঝাট থেকেও স্বস্তি পাবেন পথচারীরা। অ্যাপ ব্যবহারের ভাড়া হিসেবে চালকদের কাছ থেকে সামান্য একটি অংশ নেওয়া হবে তবে যাত্রীদের ক্ষেত্রে এর কোন প্রভাব পড়বে না।
পরিবেশ বান্ধব হিসেবে আগেই সুনাম অর্জনের পর , এবার রাজকীয় আহ্বানে, সেরা পরিবহনকারী হিসাবে মর্যাদা বৃদ্ধি হলো অনেকটাই।