মলয় দে নদীয়া :- করোনা নামক বর্গী হানা দেওয়ার পর, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার ব্যাপারে কোন শিথিলতা নেই।
শান্তিপুর পৌরসভায় অবস্থিত ভূমি রাজস্ব বিভাগের অফিসটি দীর্ঘদিন যাবত ছিলো বন্ধ। কর্তৃপক্ষ দরজায় নোটিশ লাগানোর কথা বললেও, অনেকেই তা খুঁজে পাননি। বেশ কিছুদিন যাবৎ চলছিল হয়রানির পালা। তবে এবার, অফিস খোলার পর আমরা পৌঁছেছিলাম তাদের কাছে। জানা গেলো, এ ধরনের পাঁচটি আরআই অফিস, চালাতে হয় শান্তিপুরের দায়িত্বে থাকা রেবা বিশ্বাস মজুমদারকে। শুধু খাজনা নেওয়াই নয় কনভারশন এনকয়ারি পর্চা সংক্রান্ত নানাবিধ কার্য সম্পাদন হয়ে থাকে এই অফিসে। যা মার্চ মাস থেকে সেশন শুরু হয়ে চলে মে মাস পর্যন্ত, সেই সমস্ত কারণেই কিছুদিন বন্ধ ছিলো। তিনি শোনালেন খুশির খবর। এখন থেকে আরআই অফিসে ভিড় করে রাজস্ব জমা দিতে আসতে হবে না অধিবাসীদের। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তে ইলেকট্রিক বিল দেওয়া এবং খাজনা দেওয়া মিউটেশন কনভারশন এই ধরনের নানা কাজ অনলাইনে সম্ভবপর হবে। ব্যক্তিগতভাবে অধিবাসী তার নিজের খাজনা নিজেই জমা করতে পারবেন বাড়িতে বসেই।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে ২৬৭ টি রাজ্য্ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকল্পাধিন হওয়া যাবে অনলাইনে। বিডিও এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নদিয়া জেলায় ১৯২ টি এ ধরনের কেন্দ্র আছে যার মধ্যে শান্তিপুরের দশটি, তবে শহরে শুধুমাত্র একটিই রয়েছে আপাতত।