মলয় দে নদীয়া :-কেন্দ্রীয় সরকারী প্রকল্প অগ্নিপথ নিয়ে কোথাও কোথাও অগ্নিগর্ভ হলেও, চাকুরিপ্রার্থী যুবসমাজ বলছে অন্য কথা। তাদের কাছে দেশ সেবার সৌভাগ্যের সুযোগ এসেছে।
নদীয়ার বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেগুলিতে দেখা গেল উৎসাহী বেকার যুবকদের ভীড় । শান্তিপুর আড়পাড়া গ্রামের সাইবারকাফে দোকানী জগৎচন্দ্র বিশ্বাস, বলেন গত ২৪ তারিখ থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত ১৫ জন ইচ্ছুক চাকুরী পরীক্ষার্থীর প্রার্থী আবেদন পূরণ করা সম্ভব হয়েছে অনলাইনে, বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরাই দোকান থেকে ফেরত যাচ্ছে সাইবার ডাউন থাকার কারণে। কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী একই সময়ে, একটি সাইটে আবেদন করতে আসছেন অনলাইনে।
পাশের গ্রাম বড় জিয়াকুরের বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমায় পাঠরত সবুজ সরকার জানান, পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতি ভালো না হওয়ার কারণে, জীবিক মুখী পড়াশোনা বেছে নিয়েছেন মাধ্যমিক পাশ করার পরে। চাকুরীসংকট বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে, এত অল্প বয়সে দেশসেবার সুযোগের মধ্য দিয়ে, উপযুক্ত মাইনে সে খুশি। অস্থায়ী প্রসঙ্গে সে বলে চার বছরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবো, ২৫% স্থায়ী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারব।
আড়পাড়া গ্রামের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সৌরভ বিশ্বাস বলে, এ রাজ্যে শিক্ষিত যুবকদের কোন ভবিষ্যৎ নেই, প্রধামন্ত্রীর এ ধরনের পরিকল্পনা বেকার যুবকদের নতুন দিশা দেখাচ্ছে, তাই তার মতন অনেক বন্ধুরাও ভিড় করছে বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে। বিরোধিতা প্রসঙ্গে সে বলে,রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধিতা করা। ছাত্রসমাজ কে প্রথমে ভুল বোঝানো হয়েছিলো পরবর্তীতে তারা যখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে, তখন তাদের কাছে জলের মতন পরিষ্কার হয়ে যায়।
মাত্র চার বছরের অস্থায়ী চাকরি প্রসঙ্গে সে বলে, উপযুক্ত পারিশ্রমিক, সন্মান পাওয়ার সাথেই, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে চাকরির সুযোগ। চার বছর বাদে ২৩ লক্ষ টাকাও কম নয়।
ওই সাইবার কাফে দোকানে আসা সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা ইন্দ্রজিৎ সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পে অনলাইন আবেদন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী কে শুভেচ্ছা জানান বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের জন্য।সে বলে চাকরির মাধ্যমে দেশসেরা, অত্যান্ত সৌভাগ্যের বিষয়।