মলয় দে নদীয়া :- রথের মেলায় যাওয়া, জিলিপি খেলনা কেনা, রথের দড়ি ধরে টানার বায়না যেমন থাকে তেমনই পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ বয়সে মাফ করবেন শান্তিপুরের ভ্রমণপিপাসু তিন যুবকের বায়না জগন্নাথ ধাম পুরীতে রথ দেখতে যাবে।৫২ বছর বয়সী অবিবাহিত আশিষ ঘোষ পেশায় মুদি দোকান, ৫৫ বছর বয়সী অবিবাহিত সঞ্জয় প্রামাণিক পেষায় প্যান্ডেল কর্মী, গ্রামীণ ডাক্তার সত্য দেবনাথ ৪৮ বছর বয়সী। তিনি অবশ্য সংসারী। তবে বিবাহ না করলেও অপর দুই ব্যক্তির পরিবার আছে।
পেশা আলাদা আলাদা হলেও শুধুমাত্র ভ্রমণের পিপাসা তিনজনের বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করেছে। ইতিমধ্যেই কচুয়া ধাম, সিংয়ের কোন, মায়াপুর, নানান ধর্মীয় স্থানে তারা গেছেন। তবে এবারের গন্তব্য একটু বেশি পথের। তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেহি, রোজগার যেমনই হোক খরচ এড়াতে গতকাল শান্তিপুর থেকে সাইকেলেই বেরিয়ে পড়েছেন তিনজন। মাত্র একদিন এবং রাতের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর পার হয়েছেন। তাই ছয়দিনে পৌঁছানোর আন্দাজ অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন তারা। মাঝ পথে একটু-আধটু বৃষ্টির সামলে নিচ্ছেন একহাতে সাইকেল অপর হাতে ছাতা নিয়েই। পথের মাঝে কিনে খেতে হবে না কোনো খাবারই, তার সমস্ত জোগাড় রয়েছে সাইকেলে বাঁধা , এমনকি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার ওভেন পর্যন্ত। চা- জল খাবার থেকে শুরু করে মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশ ভোজ সবটাই নিজ হাতে প্রস্তুত। সঞ্জয় প্রামাণিক বলেন, বর্তমানে ধর্মীয় হানাহানি রুখতে জগন্নাথ দেবের কৃপা আনতে জগন্নাথ ধামে যাওয়া।
সত্য দেবনাথ বলেন, সৃষ্টির আদিকাল থেকে সনাতন ধর্ম অনেক উদার এবং মহৎ। তাই শান্তির বার্তা চাইছি আমরা।
আশীষ ঘোষ বলেন, সচক্ষে জগন্নাথ দেবের পুজো দেখা ভাগ্যের। প্রার্থনা একটাই জগন্নাথ দেবের কৃপা আশীর্বাদ বর্ষাক সকল দেশবাসীর ওপর।