মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত শান্তিপুরের আলুইপাড়ায় সিদ্ধেশ্বরী কালিমাতা পূজার ঐতিহ্য এবং পরম্পরা অনুযায়ী সাড়ে তিনশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাগ বলি হয়ে আসছে আজও।পূজো কমিটি অবশ্য এ বিষয়ে, বিধিনিষেধ আরোপ করলেও, ভক্তবৃন্দ দের বিশ্বাস মানত করা ছাগ নিজেরাই বলি দিয়ে থাকেন মায়ের সামনে। তাদের দাবি, কষাইখানাতে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাগ বলি হচ্ছে, সেখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং নিয়ম তৈরি করা এবং নিয়মের রক্ষকরাই বাজারের ব্যাগ হাতে প্রতীক্ষায় থাকেন মাংসের জন্য।
নবমী,ভাইফোঁটা ,জামাইষষ্ঠী, ঈদ, ধরনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলিতে কসাইখানা ঢেকে রাখা তো দূরে থাক রাস্তার উপরেই কাটা হচ্ছে তাদের। মায়ের পুজো দিতে গিয়ে বছরে একদিন, তাও সকাল সাতটার মধ্যে যদি একটি ছাগ বলি হয়, তাতে আপত্তি?
তাদের মতে লাখো মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করা ঠিক নয়,তবে বলি অবশ্যই প্রকাশ্যে নয়।
গ্রামের মধ্যে অন্যান্য পুজো যেমন তেমন তবে জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম পূর্ণিমায়, সিদ্ধেশ্বরী কালিমাতার এবং প্রসাদ নিতে আসেন আশেপাশের বহু দুর দুরান্ত গ্রাম থেকে ভক্তবৃন্দরা, ওকে মেলা চলে সপ্তাহভোর। কবি গান যাত্রা বাউল গানে উপস্থিত হন বাংলার খ্যাতনামা শিল্পীরা । ১২ বছর পর পর মায়ের নতুন মূর্তি স্থাপনের দ্বারা অভিষেক হয় । পরম্পরা অনুযায়ী মূর্তি তৈরি করে থাকেন মৃৎশিল্পী, পূজার পুরোহিত এর ক্ষেত্রেও বংশানুক্রমিক বলি দেওয়া ব্যক্তি বংশানুক্রমিক ভাবেই এ কাজ করে আসছেন। গত দু’বছর করোনার পরিস্থিতির মধ্যে সমস্ত যাগ-যমক বন্ধ থাকলেও নিয়ম মেনেই মায়ের পুজো হয়েছে তবে, কল করতে বলির সংখ্যা ছিলো একটি। তবে এ স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলেও , আগের মত বিপুল পরিমাণে বলি কমেছে। এবছর বলির সংখ্যা মাত্র ৬১ টি।