কন্যাশ্রী, কৃষক এবং স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর গচ্ছিত টাকা ফেরত পেতে ব্যাংকে গ্রাহকদের বিক্ষোভ 

Social

মলয় দে নদীয়া:- ১৭ই অক্টোবর ২০২০ সালে নদীয়ার শান্তিপুরের নতুনহাট অঞ্চলে এস কে ইউ এস লিমিটেড সমবায় সমিতি ব্যাংকের ম্যানেজার প্রশান্ত হালদার ব্যাংকে গচ্ছিত ৭৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। ওই ব্যাংকেরই সফটওয়্যার ম্যানুকুলেট করে কম্পিউটার অপারেটর সাদ্দাম হোসেন শেখ ৬৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমনই মামলা দায়ের হয়েছিলো সেই সময়কার ওই ব্যাংকের বোর্ড এর দ্বারা।

দীর্ঘদিন ব্যাংক বন্ধের কারণে ২৮৬ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৩০০ টিরও বেশি কৃষক এবং এক হাজারেরও বেশি প্রান্তিক তন্তু জিবি বিভিন্ন পেশায় শ্রমজীবী গরিব মানুষের কষ্ট অর্জিত শেষ সম্বল ব্যাংকে থাকা সত্ত্বেও হাতে পাচ্ছেন না টাকা। প্রতিবছরেই কন্যাশ্রীর সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীরা। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল ওই ব্যাংকে। যার ফলে আনুমানিক ৫০- ৬০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে এমনই জানা গেছে সূত্রের খবর অনুযায়ী।

কিন্তু হঠাৎ গত ১৫ ই এপ্রিল তার স্থানান্তরকরণ এর নির্দেশ আসলেও নতুন কোন অফিসার কে পাঠানো হয়নি, আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশার আলো দেখা গ্রাহকরা তাই আবারও হতাশায়। এমনই বেশ কিছু গ্রাহক বিক্ষোভ দেখালেন শ্যামবাজারে অবস্থিত নদীয়া জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে। তারা অনেকেই বলেন প্রতারকদের বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ হয়ে আদালত সাওয়াল করছেন কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটের দুজন উকিল।

আজ আবারও টাকা ফেরতের দাবিতে শতাধিক মহিলা গোষ্ঠীর কর্মকর্তাগন শান্তিপুর শ্যামবাজার সমবায় ব্যাংক দরজার সামনে বসে দীর্ঘ আধঘন্টা বিক্ষোভ দেখান। সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা অর্থ সহকারী সমবায় ব্যাংকে জমা রেখে ফেরতের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতারিত ওই সমবায় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন হিসাবে শান্তিপুর শ্যামবাজারে অবস্থিত নদীয়াজেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের শাখায়, মহিলাদের বিক্ষোভের কারণ জানতে গেলে, শাখা ব্যবস্থাপক সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি।

Leave a Reply