মলয় দে নদীয়া :-নদীয়া কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির ছাপোষা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দেবর্যী মৈত্র এলাকায় কৃতী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। কৃষ্ণনগর হাইস্কুল থেকে ২০১৬ সালে মাধ্যমিক কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয় সে। চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার পর নিজেই গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশ কয়েক ধাপ অনলাইন পরীক্ষার পর চাকরির নিশ্চিত করে ফেলে। তিনদিন আগে তার মেইলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কনফার্মেশন লেটার পাঠায় তারা। এরপরে খুশির জোয়ার নেমে আসে মৈত্র পরিবারসহ সমগ্র কৃষ্ণনগরে। শীঘ্রই সে উড়ে যাবে লন্ডনের উদ্দেশ্যে।
তবে পরিবার সূত্রে জানা গেছে বছরে চাকরির বেতন প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি। বাবা বাদল মৈত্র পূর্বে গৃহশিক্ষক থাকলেও এক ছেলে এবং মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগাতে খুলে ফেলেছিলেন গ্রিলের একটি দোকান। যদিও মেয়ে কয়েক বছর আগে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পায়। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ছেলের এই সাফলতায়, তিনি বলেন ছোটবেলায় পড়াশোনার ভিতরে দেওয়া এবং স্বপ্ন দেখানো বাবা-মার কাজ। পরবর্তীতে বিদ্যালয় শিক্ষক গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন।