মলয় দে নদীয়া:- ব্যাংক বেসরকারিকরণের আশঙ্কায় অনেকেই তাদের কষ্টার্জিত সামান্য অর্থ সঞ্চয় এর উদ্দেশ্যে সরকারি পোস্ট অফিসের ছত্রছায়ায় মাথা গোঁজার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইদানীং। অন্যদিকে পোস্টগুলি ঝাঁ-চকচকে আধুনিকীকরণ করা হলেও পরিষেবার বেলায় লবডঙ্কা, এমনটাই মনে করছেন গ্রাহকরা।
একসময় শুধু খাম পোস্টকার্ড ইংল্যান্ড লেটার বিক্রি করা পোস্ট অফিসের মাথায় এখন গুরু দায়িত্ব, মানিঅর্ডার থেকে মানি ট্রান্সফার, পার্সেল স্থানান্তর করণ থেকে গঙ্গাজল বিক্রি সবেতেই ভরসা অনলাইন। সরকারি নিজস্ব বিএসএনএল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কোম্পানি ভাড়া নিয়ে রমরমা ব্যবসা করলেও তাদের লিংক থাকে না প্রায়শই। এমন সমস্যা জানা গেছে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের কাছ থেকে।নদীয়ার শান্তিপুর কাশ্যপপাড়া পোস্ট অফিসে গ্রাহকরা জানালেন তাদের ক্ষোভের কথা। বললেন সরকারি ব্যবস্থায় টাকা রাখার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে বাধ্যতামূলক চিটফান্ডের শিকার হবেন তারা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদের মধ্যেও বয়স্করা লাঠির উপর ভর করে এসে ফিরে যাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিন। ভিডিও মন্তব্যে সরকারি বিধি নিষেধ থাকলেও পোস্টমাস্টার কার্যত স্বীকার করে নিলেন সমস্ত অভিযোগ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেলো, দুটি নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মধ্যে একটি বন্ধ হয়েছে বছর খানেক আগেই, বর্তমানে যেটা চলছে সেটা ও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই অবস্থা। পাসবুক আপডেট টাকা তোলা জমা দেওয়ার মত ন্যূনতম কাজ করতেও লাগে এক সপ্তাহ। অনেকে তো হল ছেড়েছেন, বারবার ফেরত যাওয়ার কারণে। সকলেই তাকিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দিকে , তারাও নাকি ধৈর্য হারাচ্ছেন বারবার জানানোর কারণে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে, জনসাধারণের কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপত্ত জোগাতে ব্যর্থ সরকার সার্ভিস চার্জ নেওয়া সত্ত্বেও পরিষেবা দিতে পারছে না, সেখানে বেসরকারি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করবেন কি করে?